আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উভয়ের আলোচনার মধ্যে উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গ। এই নিয়ে গভীর আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। রাশিয়ার সীমানার ভেতরে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানীকভাবে  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা এই নিয়ে কোন ইঙ্গিত দেন নি কিয়ার স্টারমার। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন জো বাইডেন ও কিয়ার স্টারমার। বৈঠক শেষে দূরপাল্লার স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার বিষয়ে বাইডেনকে রাজি করানোর প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্টারমার বলেন, তাঁরা দুজন দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

অন্যদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়াকে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে ইউক্রেনকে কোনো ধরনের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই নিয়ে অবশ্য হোয়াইট হাউসে স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাইডেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘পুতিনকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না।’

তবে বারবার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য অনুমতি চেয়েছে জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন এই ক্ষেপনাস্ত্রই পারে যুদ্ধ শেষ করতে। জানা গিয়েছে, রাশিয়ার মাটিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এর কারণ হিসেবে জানিয়েছে,যুদ্ধের তীব্রতা যাতে আর না বাড়ে তাই হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় নি।

এই নিয়ে  এর আগেও ব্রিটেনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, আত্মরক্ষার জন্য ব্রিটেনের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করা হল ইউক্রেনের ‘অধিকার’ । এর অর্থ হল, একমাত্র আত্মরক্ষার জন্য সেসব অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে পারবে। তাতে বাধা দেওয়া হবে না।

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে অনুমতি দেয় নি মিত্র দেশগুলি। এমতাবস্থায় ইউক্রেন ভাবতে শুরু করেছে আদেও রাশিয়ায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবে কিনা।

তবে শুধু রাশিয়া-ইউক্রেন নয়, গাজা-ইজরায়েল পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট করলেন স্টারমার। এই নিয়ে তিনি জানান, বৈঠকে তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে গাজায় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। বিশ্বের অন্যান্য এলাকাও তাঁধের আলোচনায় উঠে এসছে।

রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নতু করে ভাবাচ্ছে বিশ্লেষকদের। যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই জটিল হচ্ছে। এদিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা তুলেছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে পিছু হটতে নারাজ ইউক্রেন। এমতাবস্থায় শান্তি স্থাপন হওয়ার কোন সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকেরা।