এই মুহূর্তে

আবু সাঈদের হত্যার জন্য দায়ী ইউনূস, লন্ডনের সভায় বললেন হাসিনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে পুলিশের গুলিতে রংপুরের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার দায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের কাঁধে চাপালেন শেখ হাসিনা। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ব্রিটেনের আওয়ামী লীগের এক সম্মেলনে ভার্চুয়াল ভাষণ দেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জুলাই-অগস্টের আন্দোলনের সময়ে কোনও শক্তি প্রয়োগ করিনি। যদি শক্তি প্রয়োগ করতাম, তাহলে অনেক লাশ পড়ত। আমি চাইনি মানুষের প্রাণ যাক। পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। ইউনূস-ই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড, খুনি, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী। আবু সাঈদের হত্যার জন্য এই মাস্টারমাইন্ডরাই দায়ী। তাঁরা চেয়েছিলেন, লাশ ফেল, তা হলে সরকার পড়ে যাবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত জুলাই-অগস্ট মাসে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সেনা বিদ্রোহের মুখে গত ৫ অগস্ট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে দিল্লি আশ্রয় নেন বঙ্গবন্ধুর বড় কন্যা শেখ হাসিনা। সেই থেকে ভারত সরকারের অতিথি হয়ে দিল্লিতেই রয়েছন। চলতি মাসের শুরুতেই ফের রাজনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করেছন তিনি। আমেরিকার নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের এক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি ভাষণের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় শুরু করেছেন দেশত্যাগী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার পর এদিন লন্ডনের সভায় ভাষণ দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তথা দলনেত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শুনতে ভিড় উপচে পড়েছিল।

ভার্চুয়াল ভাষণে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলাই-অগস্টের রক্তঝরা আন্দোলনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, ‘আমি কখনও চাইনি মানুষের প্রাণ যাক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সংযত ছিল। পুলিশের উপরে আক্রমণ হয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। নিরীহ পুলিশ কর্মী-আধিকারিকদের নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা ওই নাশকতামূলক কাজকর্মে জড়িত ছিল, তাদের ক্ষমা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতেই প্রমাণিত ওই রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মূলচক্রী ছিল ইউনূস। জুলাই-অগস্টে যত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে, তার বিচার করতে হবে।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাঁর বিরুদ্ধে যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তা নিয়েও কটাক্ষ শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তাঁর কথায়, ‘কিসের জন্য বিচার হবে? আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমার হাত দিয়ে কোনও খুন হয়নি। আমি কারও জীবন নিইনি। ইউনূস মাস্টারমাইন্ড, খুনি, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী। আবু সাঈদের হত্যার জন্য এই মাস্টারমাইন্ডরাই দায়ী। তাঁরা চেয়েছিলেন, লাশ ফেল, তা হলে সরকার পড়ে যাবে।’ ৫ অগস্ট তাঁর জমনার পতনের পরে বাংলাদেশ জুড়ে সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের উপরে মোল্লা ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে যে বেলাগাম সন্ত্রাস চলছে, তারও নিন্দা করেছেন মুজিব কন্যা। ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গত চার মাসে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর লুট হয়েছে। মন্দির, গির্জা, মাজার ধ্বংস করা হয়েছে। ঘরে শান্তিতে ঘুমোনোর উপায় নেই। বাংলাদেশের মানুষের এখন ‘ন্যায়বিচার’ চাওয়ার অধিকারটুকু নেই।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তুরস্কের ইস্তানবুলে বিষাক্ত মদ পান করে ৩৩ জনের মৃত্যু

ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি

সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা যাবে না, হুঙ্কার বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

এক বছরেই চিন থেকে গায়েব ১৩ লক্ষ মানুষ, কী ঘটল এমন !

১১ বছর বয়সী ছাত্রের সঙ্গে জোর করে যৌন সঙ্গমের পর গর্ভবতী, গ্রেফতার শিক্ষিকা

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে লড়তে গিয়ে ১২ ভারতীয়র মৃত্যু, নিখোঁজ ১৬, জানাল বিদেশ মন্ত্রক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর