নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: ক্রুণাল পাণ্ড্য আর অমিত মিশ্রর বিষাক্ত স্পিনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইন আপ। একমাত্র ব্যাট হাতে কিছুটা লড়লেন আনমোলপ্রীত সিং, রাহুল ত্রিপাঠী ও আব্দুল সামাদ। আর সেই লড়াইয়ের কারণে একশোর গণ্ডি না পেরনোর মতো লজ্জার হাত থেকে রেহাই পেল আইডেন মার্করামের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২১ রান তুলেছে আইপিএলের প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ান দলটি।
শুক্রবার লখনউয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। কিন্তু তাঁর সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। তৃতীয় ওভারেই ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে (৮) ফিরিয়ে হায়দরাবাদ শিবিরে আঘাত হানেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। এর পরে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আনমোলপ্রীত সিং ও রাহুল ত্রিপাঠী। দুজনে জুটি বেঁধে ২৯ রান সংগ্রহ করে। হায়দরাবাদের স্কোর ৫০ রান হতে না হতেই অষ্টম ওভারে বল করতে এসে হায়দরাবাদকে জোড়া ধাক্কা দেন ক্রুণাল। পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দেন আনমোলপ্রীত (৩১) ও অধিনায়ক মার্করাম-কে (০)। খানিকবাদে আউট হন হ্যারি ব্রুক (৩)। ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান রাহুল ত্রিপাঠী।
কিন্তু লখনউয়ের বোলারদের আটোসাঁটো বোলিংয়ের মুখে পড়ে রান মেশিন সচল রাখতে হিমশিম খান দুজনে। ১৮ তম ওভারে বল করতে এসে রাহুল ও ওয়াশিংটনের জুটি ভাঙেন যশ ঠাকুর। ৪১ বলে ৩৪ রান করে ফিরে যান রাহুল। আব্দুল সামাদ ও ওয়াশিংটন সুন্দর দলের রান একশোর গণ্ডি পার করান। ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে মারতে গিয়ে ফিরে যান সুন্দর (২৮ বলে ১৬)। দলের রান তখন মাত্র ১০৪। বাকি ছিল নয় বল। এর পরেই রুদ্রমূর্তি ধরেন আব্দুল সামাদ। দুটি বিশাল ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তুলতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। লখনউয়ের পক্ষে ক্রুণাল পাণ্ড্য চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামা অভিজ্ঞ স্পিনার অমিত মিশ্র ২৩ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন।