নিজস্ব প্রতিনিধি: শার্দূল ঠাকুরের বিক্রমোচিত ব্যাটিংয়ের সাক্ষী থাকল ইডেনের দর্শকরা। রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে নাইটদের সংগ্রহ ২০৪ রান। অর্থাৎ জয়ের জন্য বিরাট কোহলিদের চাই ২০৫ রান।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে নাইটদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাপ ডুপ্লেসি। চতুর্থ ওভারেই পর পর দুই বলে বেঙ্কটেশ আইয়ার (৩) ও মনদীপ সিংকে (০) ফিরিয়ে কলকাতাকে জোড়া ধাক্কা দেন ডেভিড উইলি। নাইট অধিনায়ক নীতীশ রানাও (১) ফের ব্যর্থ হন। এর পরে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। চতুর্থ উইকেটে রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। দেখেশুনে খেলে ৩৬ বলে আইপিএলে নিজের প্রথম অর্ধশতরানও তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত কর্ন শর্মার বলে সাজঘরে ফেরেন গুরবাজ (৪৪ বলে ৫৭)।
পাঁচ উইকেটে হারানো নাইটরা কতদূর এগোতে পারবে তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন দর্শকরা। কিন্তু মাঠে নেমেই কার্যত চার আর ছক্কার ফুলঝুরি ছোটান শার্দূল ঠাকুর। মাত্র ২০ বলেই আইপিএলে নিজের অর্ধশতরান তুলে নেন। শার্দূলের ব্যাটিং বিক্রমে খেই হারিয়ে পেলেন বেঙ্গালুরুর বোলাররা। ক্রিজের অন্য প্রান্তে সতীর্থ শার্দূলের বিধ্বংসী মেজাজ দেখে হাত খুলে মারতে শুরু করেন রিঙ্কু সিংও। যখনই মনে হচ্ছিল অনায়াসেই অর্ধ শতরান পাবেন তিনি তখনই হর্ষল পটেলের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রিঙ্কু (৩৩ বলে ৪৬)। শেষ ওভারে মারতে গিয়ে আউট হন শার্দূলও (২৯ বলে ৬৮)। ক্রিজে আসা উমেশ যাদব শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। বেঙ্গালুরুর বোলাররা শেষের দিকে কতটা হতশ্রী বোলিং করেছেন অতিরিক্ত রানের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হবে। অতিরিক্ত হিসেবে এসেছে ২৩ রান। তার মধ্যে ওয়াইড থেকে ১০ রান এবং নো বল থেকে তিন রাত। কোহলিদের হয়ে ডেভিড উইলি ও কর্ণ শর্মা দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।