নিজস্ব প্রতিনিধি: রহড়ায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ১৭ বছরের এক কিশোরের। শনিবার সকালে রহড়া থানা এলাকায় এমন বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। মৃত কিশোরের দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রহড়া থানা এলাকার রুইয়া মধ্যপাড়ায় শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয় ১৭ বছরের এক কিশোরের। থানার পিছন থেকে কুড়িয়ে আনা কৌটো ফেটে বিস্ফোরণ বলে দাবি পরিবারের। জানা গিয়েছে কৌটো বোমা ফেটে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের জেরে গুরুতরভাবে জখম হয় ওই কিশোর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে এবং পরে সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিতসকরা ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রহড়া থানার পিছনে একটি ঝোপ থেকে শনিবার সকালে একটি কৌটো উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন মৃত কিশোরের দাদু আব্দুল হামিদ। এর পর সেই কৌটোটি নাতির হাতে দেন আব্দুল হামিদ। থানার পিছন থেকে কুড়িয়ে আনা কৌটোতে কী আছে তা দেখতে বলেন তিনি কিশোরকে। ১৭ বছরের কিশোর ওই কৌটোটি নিয়ে বাড়ির মধ্যে নাড়াচড়া করছিল সেই সময় আচমকা ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিস্ফোরণের জেরে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বাড়ি। গুরুতরভাবে জখম হয় ওই কিশোর।
মৃত কিশোরের দাদু পৌঢ় আব্দুল হামিদ জানান, এদিন সকালে রহড়া থানার পিছন থেকে তিনি একটি স্টিলের কৌটো কুড়িয়ে নিয়ে আসেন বাড়িতে । বাড়িতে আনার পর সেটি তাঁর নাতিকে দেন। নাতিকে সেটি খুলতে বলেন হামিদ। এর পর ওই কিশোর সেটি নিয়ে নাড়াচড়া করতেই ঘটে বিস্ফোরণ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রহড়া থানার পুলিশ। থানার পেছনে কীভাবে কৌটো বোমা এল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কারা এই কৌটো বোমা থানার পেছেনে ফেলে রেখে গেল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত কিশোরের দাদুকে জিজ্ঞসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। ১৭ বছরের কিশোরের আচমকা বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।