এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আরও কয়েকজন যাবেন তৃণমূলে, নজরদারি শুরু বঙ্গ বিজেপিতে

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক এক করে ৭জন বিধায়ক(MLA) চলে গিয়েছেন তৃণমূল(TMC) শিবিরে। আশঙ্কা, লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও বেশ কয়েকজনই পা বাড়াবেন জোড়াফুলের দিকে। আর তাই এবার দলের বিধায়কদেরই ওপর নজরদারি শুরু করে দিল বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP) নেতৃত্ব। তবে একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যারা তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন, তাঁদের কাউকেই আটকানো হবে না। সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও যে বিষয়টি এখন পদ্মশিবিরে চিন্তা বাড়িয়েছে তা হল, দলের আদি নেতা থেকে শুরু করে একদম কট্টর বিজেপির সমর্থক ও নেতারাও কেন তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন সেই বিষয়টি। দলের সাংসদ থেকে বিধায়কেরা যেভাবে তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন তা বঙ্গ বিজেপির দলীয় কর্মীদের মনোবলও যে ভেঙে দিচ্ছে, সেটাও মাথায় রাখছে পদ্মশিবির। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের নীচুতলার নেতাকর্মীদের কোন মন্ত্রে চাঙ্গা করে তোলা যাবে সেটাই এখন চিন্তা বিজেপি নেতৃত্বের।

দলের এহেন অবস্থায় দলের নেতৃত্বকেই অবশ্য বিঁধেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। শুক্রবার দিল্লিতে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দলের অবস্থা এখন হারতে হারতে হারাধন! আমায় সরানোর ছিল, সরিয়ে দিয়েছে। আবার কীসের রদবদল চাই? এখন তো আর কাজ করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমার জঙ্গল সাফ করার কথা ছিল। আমি তা করে দিয়েছি।’ সন্দেহ নেই দিলীপের এই বক্তব্য এখন হজম করা পদ্মশিবিরের পক্ষে বেশ কঠিন। তার থেকেও কঠিন বাংলার মাটিতে লোকসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানো। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়ায় গ্রামবাংলার মাটিতে এখন পদ্ম নেই বললেই চলে। এমনকি যে সব ভোট ব্যাঙ্কের হাত ধরে বিজেপি বাংলার মাটিতে উনিশের ভোটে সাফল্যের মুখ দেখেছিল বা একুশের ভোটে লড়াই চালিয়েছিল সেই সব ভোট ব্যাঙ্কও এখন পদ্মশিবির থেকে মুখ ঘোরানো শুরু করে দিয়েছে। তা সে উত্তরবঙ্গেই হোক কী দক্ষিণবঙ্গে। তাই হাতে এখন মোদি নামের তাস ছাড়া বঙ্গ বিজেপির হাতে কিছুই নেই।

কার্যত মোদি(Narendra Modi) মন্ত্রে ভর করেই বাংলার মাটিতে বিজেপি ২৪’র যুদ্ধ লড়তে চাইছে। সেকথা কার্যত জানিয়েও দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। তাঁর বক্তব্য, ‘দলত্যাগীদের নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কে এল আর কে গেল তাতে কিছু আসে-যায় না বিজেপির। ব্যক্তি নয়, মানুষ বিজেপির প্রতীক দেখে ভোট দেন। নরেন্দ্র মোদীজির উন্নয়নই বিজেপিকে লোকসভা ভোটে সাফল্য এনে দেবে।’ যদিও সুকান্তের এই মনোভাব দলের আখেরে ক্ষতি করছে বলেই এখন মনে করছেন অনেকে। কেননা শুধু মোদি মন্ত্রে ভর দিয়ে যে সাফল্য আসবে না সেটা যেমন একুশের ভোটে দেখা গিয়েছে তেমনি বাংলার বাইরের রাজ্যগুলিতেও দেখা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সংগঠন শক্তিশালী করাই সঠিক পথ হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাংলার মাটিতে এখন বিজেপির সংগঠন বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাই কারা কারা দল ছাড়তে পারেন সেটা আন্দাজ করে এখন তাঁদের ওপর নজরদারি চালানো ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তাও খোলা নেও পদ্মশিবরের কাছে। যদিও তাতে দলছাড়া ঠাকানো যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাত পোহালেই মাধ্যমিকের ফল ! কীভাবে জানবেন রেজাল্ট

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ

কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ লেজার লাইট

তীব্র গরমে বাড়ছে লোডশেডিং, নাজেহাল অবস্থা আমজনতার

‘মানুষ ঠিক করে নিন, কে প্রকৃত প্রার্থী’, কুণালের মন্তব্যে নয়া বিতর্ক

প্রখর রোদে ভোট প্রচারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহম, এখন কেমন আছেন?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর