নিজস্ব প্রতিনিধি: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিচার্য বিষয় বদলের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে (Kolkata High Court CJ Prakash Srivastava) চিঠি দিলেন হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের (High Court Bar Association) একাধিক সদস্য। অনুরোধ মানা না হলে শুক্রবার থেকে প্রধান বিচারপতি (Kolkata High Court CJ) এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কটের পথেও হাঁটা হবে বলে জানিয়েছেন চিঠিতে স্বাক্ষরকারী আইনজীবীরা। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের আর এক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhya) বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণাভ ঘোষ।
দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত তিন মাস আগে বিচারপতিদের বিচার্য বিষয়ে রদবদল করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব (Chief Justice Prakash Srivastava)। পুলিশি নিস্ক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলার শুনানির ভার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) পরিবর্তে বিচারপতি শম্পা সরকারকে (Justice Shampa Sarkar) দেন। আর পঞ্চায়েত ও শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা শোনার দায়িত্ব দেন বিচারপতি মান্থাকে ((Justice Rajasekhar Mantha) । কিন্তু বুধবার ফের বিচারপতিদের বিচার্য বিষয়ের রদবদল ঘটান প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি শম্পা সরকারের (Justice Shampa Sarkar) হাত থেকে পুলিশি নিস্ক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলা সরিয়ে বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। বিচারপতি শম্পা সরকার (Justice Shampa Sarkar) এখন থেকে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা শুনবেন।
এদিন বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় বদলের কথা জানতে পারার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবীদের একাংশ। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন তাঁরা। ওই চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনে সাড়া না মিললে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির এজলাসও বয়কট করা হবে। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসুমল্লিক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিচারপতি মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) পুলিশি মামলা শোনার সময়ে এক পক্ষের হয়ে রায় দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় তদন্তের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ফলে তাঁর কাছ থেকে সুবিচার পাওয়া যাবে না। তাই আপত্তি জানানো হয়েছে। যদি ওই আবেদনে সাড়া না মেলে তাহলে প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কটের পথে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে।’
