নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতে সময় নেই বেশি, শিয়রে পুরভোট। তাই শাসক কিংবা বিরোধী সব প্রার্থীরাই ভিন্ন কায়দায় করছে প্রচার। কেউ প্রচারে গিয়ে কর্মীদের বাড়িতেই খাচ্ছেন দুপুরের আহার, আবার কেউ সাইকেল নিয়ে করছেন মিছিল। করোনা বিধি মেনেই কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ হুড খোলা গাড়িতে প্রচার সারছেন। এইসবের মধ্যে ভিন্ন কায়দায় প্রচার দেখল দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকার বাসিন্দারা। সেখানকার ৬৮ নম্বরের তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে নামেন এলাকার নাগরিকরা। শনিবার বিকেলে সিটিজেন পার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত ভিন্ন কায়দায় অরাজনৈতিক মিছিল করেন পুরভোটের প্রার্থী সুদর্শনা। যদিও তাঁর উদ্যোগে নয়, পছন্দের প্রার্থীকে কাছে পেয়ে এই প্রচারসূচি করেছেন এলাকার নাগরিকরা।
হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে ছিল একটাই শ্লোগান। ‘আমরা সুদর্শনাকেই চাই’, ‘আমরা নিজের মেয়েকেই চাই,’ এই অরাজনৈতিক প্রচারে প্রার্থী সুদর্শনা ছাড়াও ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বোন গীতি হাকিম। এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শনা জানিয়েছেন, ‘এনারা সবাই পাড়ার বাসিন্দা। এখানে কোনও রাজনৈতিক মিছিল হচ্ছে না। একটা অরাজনৈতিক মিছিল। সবাই আমার পাড়ার লোক, ভালোবাসে আমায়।’ এদিনের মিছিলে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও ভিন্ন গানের মাধ্যমে ৬৮ নম্বরে সুদর্শনাকে জেতাতে মরিয়া এলাকাবাসীরাই।
কলকাতা পুরভোটে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে নানা টানাপোড়েন চলে। প্রথমে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে নাম ঘোষণা করা হয় প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্ট্যোপাধ্যায়ের। তারপরেই এলাকার সাধারন নাগরিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মিছিল করে কার্যত অবরুদ্ধ করে দেয় গড়িয়াহাট চত্বর। সকলের দাবি সুদর্শনাকেই চাই। তারপরেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই ফের ওই ওয়ার্ডে টিকিট দেয়। যার প্রেক্ষিতে ক্ষোভে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তনিমা চট্ট্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এদিনের নাগরিক সমাজের এই মিছিল নির্দল প্রার্থী তনিমা চট্ট্যোপাধ্যায়কে বার্তা দেওয়ার জন্যও আয়োজন করা হয়েছিল।