নিজস্ব প্রতিনিধি : রোদে বেরোতে হবে ভাবলেই যেন আরও বেশি গরম চেপে ধরে আমাদের। তার সঙ্গে প্যাচ প্যাচে ঘাম আর দূষণ তো আছেই। এরকম গনগনে আঁচে সেদ্ধ ইট, কাঠ, পাথরের শহর থেকে কোনও পাহাড়িয়া এলাকায় ছুটে চলে যেতে মন চায়। যাঁদের পকেট ভর্তি তাঁরা সহজেই বেড়াতে চলে যেতে পারেন। কিন্তু যাঁদের সেরকম সামর্থ নেই তাঁদের পক্ষে হুট করে বেড়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেন চাঁদে জমি কেনার মত হয়। তবে এমনকিছু শৈলশহরের কথা বলবো যেখানে কম খরচে ঘুরে অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন। উত্তরাখণ্ডের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। ঘুরে আসতে পারেন এখানকার জনপ্রিয় শৈলশহরগুলি থেকে।
হৃষিকেশ: উত্তরাখণ্ডে গেলে একবার ঘুরে আসতে পারেন হৃষীকেশ থেকে। একই সঙ্গে দেবদেবীর আরাধনা ও রোমাঞ্চকর দুঃসাহসিক অভিযান উপভোগ করার সঠিক ঠিকানা হৃষীকেশ। রিভার রাফ্টিং, বাঞ্জি জাম্পিং, রক ক্লাইম্বিংয়ের জন্য ভারতবিখ্যাত কেন্দ্র হৃষীকেশ।শুধু কি তাই যোগ ও ধ্যানের অন্যতম প্রানকেন্দ্র হৃষীকেশ।
কৌশানি : উত্তরবঙ্গে গিয়ে সবাই যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে মুগ্ধ হন তেমনই কৌশানি থেকে দেখতে পাওয়া ত্রিশূল শৃঙ্গও সকলকে মুগ্ধ করবে। এছাড়াও কৌশানি থেকে দেখা যায় বানর পুচ্ছ এবং পঞ্চাচুলি পর্বতশৃঙ্গ। এখানকার আবহাওয়া সারা বছরই মনোরম। এখানকার ত্রিশূল শৃঙ্গের সৌন্দর্য্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
দেরাদূন: দেরাদুনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়, এবং এই শহরে খুবই শান্ত।হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শৈলশহরটি উত্তরাখণ্ডের অন্যতম পর্যটন স্থান। এখানকার নিরিবিলি, শান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই উপভোগ করার মতো। এখানকার লাখা মণ্ডল শিবমন্দির, টাইগার ফলস, সহস্রধারা, রবার’স গুহা, তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরে ঘুরতে পারেন। এখানে গিয়ে প্রানভরে শান্তির নি:শ্বাস নিতে পারবেন এটা নিশ্চিত।