নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভোট রাজনীতিতে অর্থ আর পেশী শক্তির দাপট কতটা লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার প্রার্থীদের সম্পদ আর অপরাধের বহরেই প্রমাণ। রাত পোহালে শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮ আসনে নেওয়া হবে ভোট। আর জনতা জনার্দনের দ্বারা যাদের ভাগ্য আজ ইভিএম বন্দি হবে তার মধ্যে ৩০ প্রার্থী কোটিপতি। ফৌজদারি মামলা রয়েছে ২৫০ প্রার্থীর নামে। যে নারী শক্তির জন্য প্রতিটি সভায় চোখের জল ফেলে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের উপস্থিতির হার অবশ্য নগন্যই। মোট ভোট প্রত্যাশীর মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ মহিলা প্রার্থী।
বেসরকারি নির্বাচন নজরদারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় যে ২৫০ জন দাগি প্রার্থী ভোট ময়দানে রয়েছেন তার মধ্যে ২২ জন কংগ্রেসের। ২১ জন বিজেপির, ১৪ জন সিপিআইএমের। মামলার পাহাড় মাথায় নিয়ে ভোটে লড়ছেন কেরল বিজেপির সভাপতি কে সুরেন্দ্রন। ওয়ানাড কেন্দ্রে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো বাহুবলী নেতার বিরুদ্ধে ২৪৩টি মামলা রয়েছে। কেরলের আর এক বিজেপি প্রার্থী কে এস রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে ২১১টি মামলা রয়েছে। তিনি লড়ছেন এনার্কুলাম থেকে। কেরলেরই ইডুক্কি আসনে দাঁড়ানো কংগ্রেস প্রার্থী আইনজীবী ডিয়ান কারিয়াকোস ৮৮টি মামলায় অভিযুক্ত।
দ্বিতীয় দফায় যেমন দাগি প্রার্থীর রমরমা তেমনই কোটিপতি প্রার্থীরও বাড়বাড়ন্ত। ১,২০৬ প্রার্থীর মধ্যে ৩৯০ জনই কোটিপতি। সম্পদের নিরিখে শীর্ষে রয়েছেন কর্নাটকের মাণ্ড্য লোকসভা আসনের প্রার্থী বেঙ্কটারামানে গৌড়া। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬২২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ধনী প্রার্থী বেঙ্গালুরু গ্রামীণ থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়া ডি কে সুরেশ। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫৯৩ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা হেমামালিনীর সম্পত্তির পরিমাণ ২৭৮ কোটি টাকা।