নিজস্ব প্রতিনিধি: মাওবাদী বাড়বাড়ন্ত থাকা রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী রবিবার দিল্লিতে বিজ্ঞান ভবনে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন শাহ। সেখানেই ডেকে পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার সহ ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের। প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা গেলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের না যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। তাই আগাম কর্মসূচী থাকায় দিল্লি যেতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে কিন্তু মাথার উপর খাড়া হয়ে ঝুলছে জোড়া ঘূর্ণাবর্তের চাপ। তাই পশ্চিমবঙ্গের তরফে কে হাজির থাকবেন বৈঠকে কিছুই জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যগুলিতে মাওবাদী কার্যকলাপের খুঁটিনাটি তথ্যের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার ব্যবস্থার রূপরেখাও আলোচনা হতে চলেছে। বিশেষ করে সুকমা-দান্তেওয়ারায় কিছুদিন যাবৎ মাওবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে তাই চিন্তা বাড়ছে দিল্লির। তাই সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতেই ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। left-wing extremism দমন ও নিয়ন্ত্রণের পথনির্দেশের জন্যই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়ের গুরুত্ব বুঝেই প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন বাংলা থেকে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগমোহন রেড্ডি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে উপস্থিত থাকবেন, বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জাতিভেদ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন শাহের সঙ্গে।
বিভিন্ন রাজ্যের নকশাল ও মাওবাদী বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে প্রতি বছর আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু করোনার জন্যই সেই বৈঠক বাতিল হয়েছে কিছু বছর। তবে এবার দিল্লিতে সশরীরে বৈঠক করতে উদ্যোগী শাহ।