নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই দিন নবান্ন সভাঘরে বৈঠক হবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। পাশাপাশি বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ সহ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির শীর্ষ আধিকারিকরাও ওই বৈঠকে থাকবেন। সূত্রের খবর, পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার ফাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে বসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও সিকিম-এই পাঁচ রাজ্য নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ। আন্তঃরাজ্য সীমানার পাশাপাশি অন্তর্দেশীয় সীমান্তের নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনা হয় পরিষদের বৈঠকে। চার বছর আগে ২০১৮ সালে নবান্নেই বসেছিল পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক। যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। করোনার প্রকোপের কারণে গত কয়েক বছর পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। গত ৫ নভেম্বর ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সময় বের করতে না পারায় শেষ মুহুর্তে বৈঠক স্থগিত রাখা হয়।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকে গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে বিএসএফ ও সিআইএসএফের ভূমিকা নিয়ে সুর চড়াতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সীমান্ত এলাকায় নিরীহ গ্রামবাসীদের যেভাবে বিএসএফ জওয়ানরা হেনস্থা করে চলেছেন সেই বিষয়টিও উত্থাপন করতে পারেন তিনি।