নিজস্ব প্রতিনিধি: ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এই দাবি নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল তাঁর পরিবার। আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হতে পারে এই মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, আনিস খানের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরিত করার প্রয়োজন নেই। সিট যেমন তদন্ত করছে, সেটাই যথেষ্ট। বরং সিট দ্রুত তদন্ত শেষ করুক এবং চার্জশিট পেশ করুক। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের পরিবার।
হাওড়ার আমতার বাসিন্দা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত করতে রাজ্য সরকার সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করেছে। কিন্তু আনিস খানের পরিবার রাজ্য সরকারের গঠন করে দেওয়া সেই বিশেষ তদন্তকারী দলের ওপর ভরসা রাখেননি। তাঁদের বক্তব্য, ‘যে পুলিশ আনিস খানকে খুন করেছে, সেই পুলিশের তদন্তে ভরসা করা যায় না।’ আনিস খানের বাবা সালেম খান এবং তাঁর দাদা সাবির খান প্রথম থেকেই এই ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টে এই বিষয়ে মামলা হলেও হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিটের তদন্তে আস্থা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এর পর গত সপ্তাহেই এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছিলেন আনিস খানের পরিবার। সেই মতো বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।
চলতি বছরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার আমতা থানার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়া এলাকার বাসিন্দা ছাত্র নেতা আনিস খানকে খুন করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁকে ওইদিন রাতে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করার অভিযোগ ওঠে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। আনিসের পরিবারের দাবি, আমতা থানার একজন পুলিশ আধিকারিক এবং তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার সেদিন রাতে আসে। তারাই এই ঘটনায় যুক্ত বলে অভিযোগ পরিবারের। এর পর সেই ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানোর জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের পরিবার।