নিজস্ব প্রতিনিধি: বছর দুই ধরে ছেলেমেয়েকে নিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু আবাসনের কারোর সঙ্গেই মিশতেন না। পরিবার বলতে এক ছেলে, এক মেয়ে ও তাঁদের মা। তিনজনের কেউই ঘর থেকে খুব একটা বার হতেন না। বিগত ৪-৫দিন ধরে তাঁদের কাউকে ঘরের বাইরে পা রাখতেও দেখেননি ওই আবাসনের কোনও বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে সেই মহিলাই আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে সন্দেহ হয় আবাসনের বাসিন্দাদের। এরপর তাঁরা মহিলার ঘরে এসেই পচা দুর্গন্ধ পান। তার জেরে এদিক ওদিক নজর ঘোরাতেই দেখতে পারেন মহিলার ছেলেমেয়ে একটি ঘরে থাকা খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তাঁদের দেহ পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দ্রুত ওই আবাসনের বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের(Newtown) সিডি ব্লকে ২৫ নম্বর বাড়িতে। সেখানেই ন’তলার ঘরে ভাড়া থাকে ওই পরিবার। তবে চমক তখনও বাকি ছিল। পুলিশ এসে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বোঝা যায় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীণ(Mental Disbalanced)।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম মালা কুঞ্জ(Mala Kunja)। তাঁর মেয়ের নাম অনিন্দিতা। তবে ছেলের নাম বলতে পারেননি ওই মহিলা। এমনকি তাঁরা কীভাবে মারা গেল আর কবে মারা গিয়েছে তাও বলতে পারেননি। তবে পুলিশের(Police) প্রাথমিক ভাবে অনুমান দিন ৫ আগে ওই ছেলেমেয়ে মারা গিয়েছে। ভদ্রমহিলাকে কে কী দেখে বাড়ি ভাড়া দিল, মহিলার স্বামী কোথায় থাকেন, কীভাবে তাঁদের চলত এই সব বিষয়ে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কোনও সদুত্তর মেলেনি। পুলিশ ওই মহিলাকে একরকম জোর করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। মহিলার ছেলেমেয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে(Postmortem) পাঠিয়েছে পুলিশ। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। একই সঙ্গে মহিলার স্বামীর পরিচয় নিয়ে যেমন খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ তেমনি তিনি এখন কোথায় কী অবস্থায় আছেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে এটাও দেখা হচ্ছে ওই ব্যক্তি কেন এই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন না।