নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি মডেল। তিনি অভিনেত্রী। তিনি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (ARPITA MUKHERJEE)। তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা, প্রচুর সোনা। হদিশ মিলেছে প্রচুর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির। ইডি হেফাজতের পর আপাতত তিনি জেল হেফাজতে। তবে এখানেও তাঁর হালচাল রীতিমত তারকার মত। প্রেসিডেন্সি জেলে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পা ফুলে ঢোল। যখন তিনি ‘রাগে- অভিমানে’ জেল হাসপাতালে যেতে নারাজ। চপ-বেগুনি খাওয়ার বায়না করছেন। তখন আলিপুর জেলে ‘দিব্যি’ আছেন অর্পিতা। প্রথম দিনের পর থেকে খাচ্ছেন জেলের খাবারই। আর তাঁর সব কাজ করে দিচ্ছেন অন্য বন্দিরা। অভাব নেই ‘আতিথেয়তা’র।
প্রথম দিন তিনি বন্দি ছিলেন একা ঘরে। তবে বর্তমানে তিনি আছেন আলিপুর সংশোধনাগারের ২ নম্বর ঘরে। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন ২০ জন বন্দি। এই বন্দিদের অনেকেই তাঁকে দেখেছেন সিনেমার পর্দায়। তাঁকে কাছে পেয়ে যেন হাতে ‘চাঁদ’ পেয়েছেন অন্য বন্দিরা। সকলেই ঘিরে রয়েছেন ‘সেলেব’কে। কেউ কেচে দিচ্ছেন কাপড়। আবার কেউ বা পেতে দিচ্ছেন বিছানা। এখন আর কান্না নেই অর্পিতার চোখে। জেলের খাবার তাঁর মুখে রুচছে ঠিকই। তবে শুক্রবার থেকে যেহেতু শুধুই নিরামিষ খেয়েছেন তাই একটু ‘আবদার’ করছেন আমিষ খাবারের।
দুই সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এখন ‘চাহিদা’ বলতে খবরের কাগজ আর বই। আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের চাহিদা শুধুই বই। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, মা এবং নেল- আর্ট পার্লারের কর্মীদের জন্য চিন্তা ব্যক্ত করেছেন অর্পিতা। তাঁর চিন্তা মায়ের দেখাশোনা কে করবেন? কর্মীদের বেতন কে দেবেন? তবে নেটিজেনদের কটাক্ষ, মাকে এতদিন দেখেননি কেন? মায়ের সঙ্গে কেন থাকতেন না?