নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএসএফ কনভয়ে এলইডি বিস্ফোরণ করেছিল মাওবাদীরা। আজ থেকে দীর্ঘ ১১ বছর আগের ঘটনা। সেই ঘটনায় এনআইএ’র জালে ধরা পড়ল এক মাও নেতা। ধৃতের নাম রানজু খিললো।
ওই বছর সকাল ৯টা নাগাদ লক্ষ্মীপুরের পোতামুণ্ডায় ঘটে বড়সড় মাও নাশকতার ঘটনাটি। জওয়ানদের কনভয় যাচ্ছিল ওড়িশা থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ। তারপর কেটেছে দীর্ঘ বছর। পলাতক ছিলেন অতি বাম নেতা। অবশেষে ওড়িশার মালকানগিরি থেকে গ্রেফতার হল বছর ৪০-এর নেতা। এনআইএ’র দাবি, এই মাও নেতাই নেতৃত্ব দিয়েছিল ওই হামলার। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্ফোরক এবং অস্ত্র মজুত করার অভিযোগও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই ‘অপারেশন’ চালানো হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অশান্তি সৃষ্টি করতেই।
জানা গিয়েছে, ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে কলকাতা নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ওই মাও নাশকতার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল ১ বিএসএফ জওয়ানের। আহত হয়েছিলেন ১ জওয়ান। সেই সময় ২৪ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল মাওবাদীরা।
অন্যদিকে, মাও পোস্টার ছাপানোর অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাঁদড়ার ঢড়রাশোল এলাকার এক কম্পিউটার সেন্টারে হানা দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিজিৎ মাহাতো নামে একজনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় মাও পোস্টার ও ল্যাপটপ। সিল করে দেওয়া হয় ওই কম্পিউটার সেন্টারটি।