নিজস্ব প্রতিনিধি:মগরাহাট থানার অন্তর্গত মাগুর পুকুর পুলিশ ক্যাম্পের পাশে একটি জঙ্গল থেকে হরিদেবপুরে নিখোঁজ হওয়া যুবক অয়ন মন্ডলের দেহ উদ্ধার হল।এদিকে অয়ন মন্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হরিদেবপুর এলাকায়। প্রথমে হরিদেবপুর থানায় বিক্ষোভরত মানুষজনের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়। পরে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত অয়ন মন্ডলের বান্ধবীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ রাতেই অয়ন মন্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রজ্জু করে।তবে মগরাহাট থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন মন্ডলের মৃতদেহ বৃহস্পতিবারই উদ্ধার হয় এবং তারপর তারা সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে ওই মৃতদেহের ছবি কলকাতা পুলিশ সহ বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে কলকাতা পুলিশ থেকে ওই মৃতদের প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং সেই মৃত মন্ডলের বলে শুক্রবার বিকেলে চিহ্নিত হয়।হরিদেবপুরে যুবক নিখোঁজের ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে হরিদেবপুর থানা(Haridebpur Police Station) পুলিশ। হরিদেবপুর এর বাড়ি থেকেই অয়ন মন্ডল এর বান্ধবী ও বান্ধবীর বাবা কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
প্রথমদিকে এই নিখোঁজের ঘটনায় পুলিশ প্রথমদিকে গুরুত্ব না দিলেও, পরে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে এবং তার মধ্যেই মগরাহাট এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ(DeadBody) উদ্ধার হয় ।তার ছবি প্রথমে অয়নের পরিবারকে দেখানো হলে তারা তাদের ছেলে বলে চিহ্নিত করেন। এরপর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মগরাহাটে(Magrahat) গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। বান্ধবীর বাড়িতে দশমীর দিন দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন অয়ন মন্ডল।
স্থানীয় সূত্রে থেকে জানা যায়,৪৮ ঘন্টা হয়ে গেলেও নিজের বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ অয়ন মন্ডলকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার বন্ধুদের সূত্র থেকে জানা যায়, দশমীর দিন তার বান্ধবী বাড়িতে একা ছিলেন। সেই সময়ে অয়ন তার বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গেছিল। তারপর হঠাতই তার বাবা-মা চলে আসে ভয়েতে তখন অয়ন ছাদের ওপর চলে যায়। অয়ন শেষবারের মত বন্ধুকে কল করেছিল রাত ৩টে তিনটে নাগাদ এবং সে ফোনে তার বন্ধুকে জানায় মেয়েটির মা অয়নকে বুকে ঘুসি মারে এবং বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই বন্ধু তখন অয়ন কে বলে আমরা গিয়ে তোকে নিয়ে আসছি। কিন্তু অয়ন বলে না ,আমি একাই চলে আসবো। তোদের আসতে হবে না। তারপর ৪৮ঘন্টা(48Hours) কেটে যাওয়ার পরেও আয়নের কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। পরিবার এবং স্থানীয় লোকের বক্তব্য স্থানীয় থানা হরিদেবপুর কোন এফআইআর নেয় না ।শুধুমাত্র মিসিং ডায়েরি নেয়। আর সেই জন্য অয়নের বাবা লালবাজারের দ্বারস্থ হন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে নিখোঁজ অয়নের টেলিফোনের টাওয়ার লোকেশন খুঁজে দেখা যায়, ফুলের দাড়ি, নেপালগঞ্জ, এর আগে হসপিটাল মোড়ে, যেটি বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রর অধীনে। ফোন(Phone) ট্র্যাক করে লাস্ট লোকেশন শেষ ওই জায়গায় পাওয়া যায়। এদিকে পুলিশ মগরাহাটের মাগুর পুকুর এলাকায় যেখান থেকে অয়নের মৃতদেহ উদ্ধার হয় সেই মৃতদেহটি তার পরিবারের লোকজনদের শুক্রবার দুপুরে নিয়ে গিয়ে দেখানোর পর তারা সেটি চিহ্নিত করেন।