এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মন্ত্রী নন, তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র হলেন বাবুল

নিজস্ব প্রতিনিধি: জল্পনা ছিল তিনি রাজ্যের মন্ত্রী হবেন। কিন্তু সেই ভূমিকায় এখনও তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি এই সম্পর্কে টুঁ শব্দটি করছে না রাজ্যের শাসক দল। তবে এদিন তাঁকে দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব দিল তাঁরা। কিন্তু প্রশ্নও উঠে গেল, যদি মন্ত্রীই না হতে পারলেন তাহলে জার্সি বদল করে লাভ কি হল! আতচ কাঁচের তলায় বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriya)। রবিবার বাবুল টুইট(Tweet) করে নিজেই তাঁর দলীয় মুখপাত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Abhishek Banerjee)।

বাবুল সঙ্গীতশিল্পী। এটাই তাঁর প্রথম পরিচয়। ২০১৪ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। সেই বছরই সাধারন নির্বাচনে তিনি বাংলার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হন। তাঁর হয়ে আসানসোলে প্রচারে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আসানসোলবাসীকে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আপনারা বাবুককে জিতিয়ে দিল্লি পাঠান। আমি বাবুলকে মন্ত্রী করব।’ মোদির সেই কথা রেখেছিলেন আসানসোলবাসী। ভোটে জিতেছিলেন বাবুল, দোলা সেনকে হারিয়ে। মোদিও তাঁর কথা রেখেছিলেন। বাবুলকে তিনি ঠাঁই দিয়েছিলেন নিজের মন্ত্রিসভায়। তবে বাবুলকে তিনি প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন। ৫ বছর বাদে ২০১৯ সালে আবারও ভোটে জয়ী হন বাবুল। কিন্তু এবারে আর তাঁর কোনও পদন্নোতি হয়নি, মোদি তাঁকে প্রতিমন্ত্রী করেই রেখে দেন। অথচ ২০১৯ এর ভোটেই বাংলা থেকে ১৮জন সাংসদ জিতেছিল বিজেপি(BJP)। তারপরেও কেন বাবুলকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি তা আজও এক রহস্য। সেই মন্ত্রীত্বও বেশি দিন থাকেনি বাবুলের। একুশের ভোটে বাংলায় বিজেপি হারতেই মন্ত্রীত্ব যায় বাবুলের। পরে বিজেপি ছেড়ে সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি।

বাবুল বিজেপি ছাড়ার সময় থেকেই জল্পনা তীব্র হয়েছিল, এবার বোধহয় তৃণমূলেই নাম লেখাবেন এই শিল্পী। সেটাই হতে দেখা যায়। বাবুল গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই সময় থেকেই জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল, বাবুলকে রাজ্যের মন্ত্রী করতে পারেন মমতা। চলতি বছরে বালিগঞ্জ থেকে জিতে বিধায়কও হন বাবুল। কিন্তু এখনও তাঁকে মন্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। উল্টে রবিবার বাবুল নিজেই টুইট করে জানালেন তাঁকে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে। সেই টুইটে তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ দিদি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নির্বাচিত করায়। আপনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালনের জন্য নিজের সেরাটা দেব।’ যদিও সরকারি ভাবে তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে মন্ত্রীই যদি হতে না পারলেন তাহলে বিজেপি ছেড়ে কী লাভ হল বাবুলের! এই পদপ্রাপ্তি কী নিছকই সান্ত্বনা পুরষ্কার!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মালদায় বাজ পড়ে মৃত্যু ১১ জনের, শোকপ্রকাশ মমতার

উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় বদল, জায়গা করে নিল আরও ১২ জন

প্রচারে বেরিয়ে আচমকা অসুস্থ সায়নী, বাতিল সমস্ত কর্মসূচি

বিলুপ্ত Typist পদের জায়গায় LDA পদ সৃষ্টির দাবি

ঘুরপথে হিন্দি চাপানোর প্রচেষ্টা UGC’র, সরব ব্রাত্য সহ রাজ্যের শিক্ষাবিদরা

জামিন পেয়েই বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর