নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরে পুজোর আগেই রাজ্যে আবারও বেজে উঠতে চলেছে ভোট বাদ্যি। সব কিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর মাসেই নির্বাচন হতে পারে রাজ্যের ৮টি পুরসভায়। এই ৮টি পুরসভা হল দার্জিলিং জেলার কালিম্পং, কাশিয়াং, মিরিক, উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পুজালি, পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর পুরনিগম এবং হাওড়া জেলার হাওড়া পুরনিগম। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন সময়ে রাজ্য সরকার হাওড়া(Howrah) পুরনিগম থেকে বালিকে ফের আলাদা করে ভোট করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল। এবার জগদীপ বিদায় হতেই হাওড়া পুরনিগমে ভোট করাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে হাওড়া-বালি মিলিয়ে যে ৬৬টি ওয়ার্ড সেখানে ছিল সেই ৬৬টি ওয়ার্ড ধরেই ভোট করাবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ বালি(Bally) পৃথক পুরসভা হচ্ছে না। হাওড়া পুরনিগমের মধ্যেই থাকছে ওই এলাকা।
হাওড়ার সঙ্গেই রাজ্য সরকার দুর্গাপুর(Durgapur) পুরনিগম এবং আরও ৬টি পুরসভায় ভোট(Municipal Election) করিয়ে নিতে চাইছে। এই ৬টি পুরসভার মধ্যে থাকছে দার্জিলিং জেলার পাহাড়ের ৩টি পুরসভা। এদের মধ্যে মিরিকে ২০১৭ সালেই পুরনির্বাচনের সময়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই ঘটনার পরে পরেই বিমল গুরুং পাহাড়ে আগুন লাগিয়েছিলেন। অশান্ত হয়ে উঠেছিল পাহাড়। এখন সেখানে ফের শান্তি ফিরে এসেছে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছে দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচন ও জিটিএ নির্বাচন। এই অবস্থায় পুজোর আগেই রাজ্য সরকার চাইছে মিরিক, কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ের পুরনির্বাচন করিয়ে নিতে। পাশাপাশি দুর্গাপুর পুরনিগমের ভোটও করিয়ে নিতে চাইছে সরকার। চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার আগেই এই ৮টি পুরসভার নির্বাচন হয়ে যেতে পারে বলে নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে।