নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘুমাও বন্ধু ঘুমাও। শান্তিতে ঘুমাও। তুমি থেমে গেলে। রয়ে গেল তোমার কন্ঠ গাওয়া শত শত গান। সেটাই তোমার অস্তিত্ব। তুমি না থেকেও রয়ে গেলে আমাদের মধ্যে, কলকাতা(Kolkata) শহরে।
প্রয়াত কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। নাহ এ নামে তো কেউই তাঁকে চেনেন না। তাঁকে তো সবাই চেনেন কে কে(KK) নামে। সেই কে কে যার সুরেলা কন্ঠে ভেসেছে আসমুদ্রহিমাচল। সেই কে কে-কে কলকাতার রবীন্দ্র সদন(Rabindra Sadan) প্রেক্ষাগৃহ প্রাঙ্গণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে গান স্যালুট(Gun Salute) দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হল। তার আগে পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী নগরোন্নয়ন-আবাসন-পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎ-পূর্ত-ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখরা। উপস্থিত ছিলেন গায়কের স্ত্রী, পুত্র, ম্যানেজার। ছিলেন পরিবারের আরও দুই সদস্য। আর ভিড় জমিয়েছিলেন কে কে’র অনুরাগীরা। সকলেরই একটাই ইচ্ছা, শেষবারের জন্য কে কে-কে একবার দেখা।
এদিন সকালের দিকেই মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়ার সভা থেকে জানিয়েছিলেন, এই জনপ্রিয় গায়ককে গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হবে। তিনি নিজেই চেষ্টা করবেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। সেই মতন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সফর কাটছাঁট করে চলে আসেন কল্কাতায়। বিমানবন্দরে নেমেই জানিয়েছিলেন, ‘বাংলায় প্রয়াত শিল্পীদের আমরা রবীন্দ্র সদনেই শ্রদ্ধা জানাই। ওঁকেও আমরা রবীন্দ্র সদনেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ময়নাতদন্ত করতে সময় লাগবে। ওঁদের বিমান বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে। তার আগেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের প্রক্রিয়া শেষ হবে।’ পরে তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে পরিবারের কথা হয়েছে। তাঁদের মুম্বই ফেরার বিমানের সময় দেখেই শিল্পীর দেহ রবীন্দ্র সদনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এসএসকেএমে ময়নাতদন্ত শেষ হলেই তাঁকে সেখান থেকে রবীন্দ্র সদনে নিয়ে আসা হবে। বিমানবন্দরে এই ঘোষণা করার পরই নিজেও রবীন্দ্র সদনে পৌঁছে যান মমতা। তাঁকে শিল্পীর জন্য রাখা ছবিতে নিজে হাতে ফুল দিয়ে সাজাতেও দেখা যায়। পরে কেকে-র দেহ রবীন্দ্র সদনে আনা হলে শিল্পীর স্ত্রী-র হাত ধরে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর হাত ধরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন কে কে’র স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণা।