এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার ৪৩টি পণ্যে জিআই স্বীকৃতি আদায়ে উদ্যোগী মমতার সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় উৎপাদিত পণ্য(Products) তা সে প্রাকৃতিক ভাবেই হোক বা মানুষের হাত দিয়ে তৈরি করা হোক, সেই পণ্যের চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু বাম জমানায় সেই সব পণ্য যাতে বিশ্বের বাজারে ঠিকঠাক ভাবে বিক্রির জন্য পৌঁছাতে পারে তার জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হতো না সরকারি স্তরে। এর ফলে বাংলার পণ্য তথা বাংলার কৃষক থেকে শিল্পী তাঁরা আর্থিকভাবে লাভের মুখ দেখতে পেতেন না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আমজনতা থেকে শিল্পী, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক উন্নয়নে সহায়ক হবে এমন সব পণ্যকে চিহ্নিত করে সেই সব পণ্য যাতে জিআই(GI) স্বীকৃতি পায় তার জন্য উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার(Bengal Government)। তার জেরেই গত এক দশকে বাংলার ৩৫টি পণ্য জিআই বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনের স্বীকৃতি পেয়েছে। এর পরেও নতুন করে বাংলায় উৎপাদিত আরও ৪৩টি পণ্যের জিআই তকমা আদায়ের উদ্যোগী হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন সরকার।

জানা গিয়েছে, যে ৪৩টি পণ্যের জিআই তকমা পেতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে তার মধ্যে ১৩টি পণ্যের আবেদনের জন্য প্রশাসনিক কাজ প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বাকি ৩০টি পণ্যের ওপর চলছে প্রাথমিক কাজ। গোটা বিষয়টি দেখভাল করছে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, একসঙ্গে এতগুলি পণ্যের স্বত্ব পাওয়ার জন্য দেশের মধ্যে কোনও রাজ্যের আবেদন আগে কখনও হয়নি। এই সত্ত্ব যদি বাংলার এই ৪৩টি পণ্য পেয়ে যায় তাহলে এরাজ্যের মানুষের শৈল্পিক কারুকাজ গোটা বিশ্বেই আরও বেশি করে কদর পাবে, দাম পাবে। যার ফলে আর্থিক ভাবে এ রাজ্যের কৃষক থেকে শিল্পী ও ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। যদিও এইসব পণ্যের বিপণন নিয়ে এখনও কিছুটা সমস্যা রয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সব ক্ষেত্রে ত্রুটি ঠিক কোথায় হচ্ছে আর কী করলে তার অবসান হবে তা দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোনও জিনিস বা পণ্য বা প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়া গেলে এবং তার ব্যবসায়িক কদর থাকলে, সেই পণ্য বা বস্তুটির স্বত্ব পাওয়া যেতে পারে। একারণে জিআইয়ের জন্য আবেদন করতে হয়। সেই স্বত্ব পাওয়া গেলে তার বিপণন, বিশেষত বিদেশে রফতানিতে সুবিধা মেলে। যেমন দার্জিলিংয়ের চা, রসগোল্লা, তুলাইপাঞ্জি চাল, বালুচুরি শাড়ি ইত্যাদি। বাংলার যে সব পণ্য জিআই তকমা পেতে পারে বলে মনে হবে সেই সব পণ্য যাতে জিআই তকমা পাওয়ার জন্য যাতে আবেদন জানায় তার জন্য রাজ্যের তরফে জেলা প্রশাসনগুলিকে(Districts Administration) বিশেষ ভাবে স্ক্রিয় হওয়ার নির্দেশ গিয়েছে। কেননা কোনও পণ্যের জিআই পেতে হলে, সেটি যে একটি নির্দিষ্ট এলাকারই, তার প্রমাণ দাখিল করতে হয় আবেদনকারীকে। জেলা প্রশাসন সেই সব কাজে সহায়তা না করলে ওই সব পণ্যের ইতিহাস থেকে তথ্য পুরোপুরি তুলে ধরা যায় না। এমনকি নবান্ন থেকেই এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে যে, বাংলার কোনও পণ্যের ইতিহাসকে ধরে যদি কোনও গবেষণাপত্র হয়, কিংবা কেউ যদি গবেষণায় রাজি থাকেন, তাহলে তাঁকেও যেন গুরুত্ব দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনতের তরফে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের এই বিশেষ নির্দেশের পরে পরেই বাংলার ৩৪৮টি পণ্য যাতে জিআই তকমা পায় তার জন্য মোট ৩৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন পেয়েছে ১৫৩টি। আগামী দিনে এই সব পণ্যও যাতে জিআই তকমা পায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে রাজ্য সরকার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ফের নালিশ তৃণমূলের

একই দেহে ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে নয়া রেকর্ড গড়ল এসএসকেএম

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিতের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগের রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রাথমিক রিপোর্ট যাবে নবান্নে

ভোট মিটলেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে আধার যাচাইকরণের প্রক্রিয়া শুরু

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর