নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার বাংলা। ২০১৭ সালে মোদি সরকারের তরফে ‘ভারতমালা’ প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়। উদ্দেশ্যে ছিল নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা, উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকার মধ্যে টানা একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হবে। যার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পর্যন্ত বিস্তৃত হত সেই রাস্তা। কিন্তু তা আর হচ্ছে না রাজ্যে। কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতি ও বাংলাকে বরাদ্দ করার চেষ্টায় ব্রাত্য উন্নয়ন। তাই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের আইনজীবির তরফে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ‘ভারতমালা’ প্রকল্প হচ্ছে না। তাই জমি অধিগ্রহণ করা হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ভারতমালা প্রকল্পের জন্য নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ-সহ একাধিক জেলায় জমি অধিগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। জমি দিতে না চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন নন্দকিশোর মুন্দ্রা নামে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দা। মামলাকারীর দাবি ছিল, কেন্দ্র জমির বিনিময়ে ঠিক ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। ওই মামলায় আদালত কেন্দ্রের কাছে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চায়। আজই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ছিল ওই মামলার শুনানি। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন দফতরের তরফে আদালতকে মৌখিকভাবে জানানো হয়, ‘ভারত মালা’ প্রকল্পের জন্য এ রাজ্যে কোনও জমি নেওয়া হচ্ছে না। ওই প্রকল্পের কাজও বন্ধ রয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে শুধুমাত্র বাংলাকে কোণঠাসা করার জন্যই এই পদক্ষেপ? এত বড় ও আধুনিক প্রজক্ট বন্ধ হয় কীভাবে? কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বেজায় খাপ্পা রাজ্য সরকার।