এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মোদির ধমকে ভোলবদল বিদ্যুতের, নজরে পৌষমেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের ভোটে বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ার পিছনে যে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের ভুল, অবাস্তব, ভুয়ো রিপোর্ট অন্যতম কারণ সেটা ক্রমশই যেমন প্রকাশ্যে এসেছে তেমনি তা বুঝতে পেরেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও। পরবর্তীকালে আরএসএস বা সঙ্ঘের তরফেও বেশ কিছু রিপোর্ট বিজেপি নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হয় যাতে ঠিক কোন কোন কারণের জন্য পদ্মপার্টিতে ভোটে হারতে হয়েছে, সেই বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswabharati University) উপাচার্যের ভূমিকার কথাও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(Bidyut Chakrabarty) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে আসার পর থেকেই সেখানে একের পর এক বিতর্কের সূচনা ঘটেছে যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় বাংলার জনসমাজের পাশাপাশি রবীন্দ্রানুরাগীদের মধ্যেও। আর তার জেরে নানান মহল থেকে বিদ্যুতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) বেশ কড়া ধমক দিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। আর সেই ধমক খেয়েই ভোল বদল ঘটেছে বিদ্যুতের। যার হাতেনাতে প্রমাণ তিনি চলতি বছরে শান্তিনিকেতনে ফের পৌষ মেলা(Poush Mela) আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন।

শান্তিনিকেতন(Shantiniketan) ও বিশ্বভারতী বাংলা ও বাঙালির কাছে তীর্থকেন্দ্রের চেয়ে কিছু কম নয়। বছর বছর বাঙালি সেখানে ভিড় জমায় রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য লালমাটির দেশে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসার জন্য। হাজারও মানুষের ঢল নামে বসন্ত উৎসব ও পৌষ মেলার প্রাঙ্গণে। যুগের নিয়মে এই দুই উৎসবই আর আগের মতো নেই। তা যেমন আড়েবহরে বেড়েছে তেমনি তাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু সমস্যারও তৈরি হয়েছে। সে সবের সমাধান না করে বিদ্যুৎ উপাচার্য হয়ে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেন ও এমনভাবে বিশ্বভারতীকে চালাতে থাকেন যে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে শান্তিনিকেতনের আবাসিকরা, বোলপুরের বাসিন্দারা, রবীন্দ্রানুরাগীরা, বাঙালিরা রীতিমত ক্ষুব্ধ হন। পৌষমেলার মাঠ ঘিরে ফেলা থেকে শুরু করে এই মেলা বন্ধ করে দেওয়া, বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দেওয়া সেই ক্ষোভকে চূড়ান্ত অবস্থায় নিয়ে যায়। সব থেকে বড় কথা বিদ্যুতের আচরণ, কথাবার্তা, সিদ্ধান্তে বাংলা জুড়ে একটা বার্তা ছড়িয়ে পড়েছিল যে বিদ্যুৎ কার্যত বিশ্বভারতীতে গেরুয়া ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছেন। বিজেপির নির্দেশ মতো কাজ করছেন। সঙ্ঘের ইশারায় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ঐতিহ্য ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। আর এইসব কারণের জন্য বাংলা ও বাঙালির কাছে বিজেপি সম্পর্কে ভুল বার্তা গিয়েছে যার ফল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটবাক্সে পড়েছে।

এরপরে পরেই বিদ্যুৎকে নিয়ে বাংলা ও দেশের নানান মহল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েন। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তিনিই বিদ্যুৎকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন। তাই তাঁর সম্পর্কেও ভুল বার্তা যাচ্ছিল বাংলা ও বাঙালির কাছে বিদ্যুতের আচরণের জন্য। সাউথ ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের দফতরে জমা পড়া অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরেই কড়া বার্তা দেন বিদ্যুৎকে। কার্যত মোদির কাছে ধমক খেয়েই এখন ভোল বদল ঘটেছে বিদ্যুতের। যে লোকটা এক বছর আগেও পৌষমেলা আয়োজনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল সেই এবার বাংলার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি পাঠিয়েছে চলতি বছরে পৌষমেলা আয়োজন করার জন্য।

সেই চিঠিতে বিদ্যুৎ লিখেছেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা আয়োজন করতে চায়। কিন্তু রাজ্য সরকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক সাহায্য ছাড়া এককভাবে এই আয়োজন করা সম্ভব নয়। প্রশাসন যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবছর পৌষমেলা করতে আগ্রহী। মোদির ধমক না খেলে যে বিদ্যুতের ভোলবদল ঘটত না সেটা এখন সকলেই মানছেন। আর এই ঘটনায় খুশি বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে শান্তিনিকেতনের শ্রমিকেরা, রবীন্দ্রানুরাগীরা, বোলপুরের হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরাও। এইজন্য তাঁরা সকলেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানাচ্ছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

কলকাতা বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি

রবিবার কলকাতায় ৪৪ বছরের গরমের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে, তাপমাত্রা পৌঁছবে ৪২ ডিগ্রির ঘরে

চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম আপিলের শুনানির সম্ভাবনা ৩ মে

৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা, তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

মিউটেশন আছে মানেই সেই ফ্ল্যাট বৈধ এমন নয়, প্রচারে হাওড়া পুরনিগম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর