নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির ভাঙান ঠেকানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। আবারও এক বিজেপি নেতা বেসুরো হয়েছেন। এবার সরাসরি তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় কলম ধরলেন ওই বিজেপি নেতা। হুগলীর উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। কিন্তু হেরে যান। এবার তিনিই জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় পাতায় লিখলেন ‘কেন বিজেপি করা যায় না’ শীর্ষক এক উত্তর সম্পাদকীয়তে। ওই প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেছেন, ‘ওখানে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি’। বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী পরে অবশ্য স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, আমি মানসিকভাবে বিজেপিতে নেই।
২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন প্রবীর। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলপ্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের কাছে হেরে যান। প্রথমবার বিজেপির হয়ে ভোটে লড়তে গিয়ে কী কী সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়েছে সেটাই তিনি লিখেছেন জাগো বাংলায়। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে তিনি লিখেছেন, বিজেপি-র একাংশ তাঁর প্রার্থিপদ মেনে নিতে পারেনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বিজেপি-র হিন্দিভাষী পর্যবেক্ষকদের আগমনের ফলে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর মারাত্মক অভিযোগ, বিজেপির অসংখ্য শাখা সংগঠন। প্রায় ৬০টির বেশি। পদাধিকারীরা সবাই নিজেদের নেতা মনে করেন। তাঁদের দাবিদাওয়াও অনেক, বেশিরভাগই অর্থকেন্দ্রিক। কাজ করার চেয়ে চাওয়ার বেশি লোক।
যদিও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভরাডুবি হতেই সুর বদলে গিয়েছিল বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষালের। আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূলে ফিরে আসার পরই প্রবীর ঘোষাল সক্রিয় হয়েছেন পুরোনো দলে ফিরতে। এদিন জাগো বাংলায় উত্তর সম্পাদকীয় লেখা এবং পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির মুণ্ডপাত তারই ইঙ্গিত। যদিও তিনি পুরোনো দলে ফিরতে যে আগ্রহী সেটা আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তণ সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল।