নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল (TMC) সরকার (GOVT.) ৩ বছর ক্ষমতায়। গত বছরের ২ মে তৃতীয়বার রাজ্যের মসনদে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ বছরের সেই বৃত্ত পূর্ণ। দিনটিকে ‘মা- মাটি’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন মমতা। বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ৫ মে সরকার নিয়েছে একাধিক কর্মসূচী। ২ মে, সোমবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লিখেছেন, আগামী ২০৩৬ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মমতা। কুণাল ঘোষ বলেন, ২০৩৬ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা। দেশের মসনদেও তাঁকে দেখা যেতে পারে। তারপর তিনি অভিভাবক হবেন। আর ২০৩৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক। সেই ২ মে ঢাকঢোল পিটিয়ে সংকল্প যাত্রার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। তবে তেমন জন সমাগম হল কই? আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বক্তব্যের মাঝেই দেখা গেল ভিড় ভাঙতে!
২ মে সংকল্প যাত্রা ও সভার আয়োজন করে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, ২ মে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার জন্য রাজ্যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। দেখা গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। সন্তোষমিত্র স্কোয়ার থেকে রানি রাসমনি এভিনিউ পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করে পদ্মশিবির। উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে যেই কারণে এই আয়োজন, তাতে লোকের সাড়া তেমনভাবে মিলল কই? অল্প লোক নিয়েই বিজেপি সারল ‘মনসা পুজো’।
আবার পদযাত্রা শেষে আয়োজন করা হয়েছিল সভার। সেখানে শুভেন্দুর বক্তব্যের মাঝেই দেখা যায়, বিজেপি শিবিরের লোক ঘরমুখো হচ্ছেন। সভা শুরুর আহে বাড়ির মুখে আগেও রওনা দিয়েছিলেন অনেকে। শুভেন্দু সভা থেকে বলে চলেছেন, রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের মত এত অরাজকতা কখনও হয়নি। নতুন করে সংঘবদ্ধ হতে হবে। হতে হবে সংগঠিত। বিশেষ সম্প্রদায় কিছু পুলিশের সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাস চলছে। তাঁর তিরের লক্ষ্যে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই সব যখন বলছেন তিনি, তখন কার্যত পাতলা সভা থেকেও সরেছে আরও বেশ কিছু মানুষ। তাঁরা ঘরমুখো। নেতার দিকে পিঠ করে তাঁরা রওনা দিয়েছেন ফেরার পথে।