নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ কুড়ি মাস পর অবশেষে আগামী মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতই আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল। যার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। চালু হয়েছে ট্রেন ও মেট্রো। কিন্তু এরপরেও কোনও অভিভাবক চাইলে পড়ুয়াদের স্কুলে নাই পাঠাতে পারেন, এতে জোরাজুরির কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, ‘স্কুলে আসা নিয়ে কোনও রকম জোরাজুরি করা হবে না। পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। বাবা-মা চাইলে তবেই পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন।’
আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল। কেবলমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য চালু থাকবে ক্লাস। রয়েছে একাধিক নিয়ম। আপাতত ১৫ শতাংশ পড়ুয়াদের নিয়েই চালু হবে স্কুল। যদিও গত সোমবার স্কুল খোলা ‘আটকাতে’ একটি মামলা করেন আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী। তিনি আদালতের কাছে আর্জি জানান, রাজ্য সরকার সঠিক পরিকল্পনা না করেই স্কুল খুলছে। তাছাড়াও স্কুলের পড়ুয়াদের কারোর ভ্যাকসিন হয়নি, তাই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ কমিটি গড়ার প্রস্তাবও দেন তিনি। কিন্তু সেই বক্তব্য কার্যত পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রতিদিন ১০ মিনিট করে পড়ুয়াদের কোভিড নিয়ে সচেতন করা হবে। ক্লাস চালু করতে কোনও স্কুলের অসুবিধা থাকলে তারা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস হলে স্কুলের ১৫ শতাংশ পড়ুয়া উপস্থিত থাকবে। দেশের প্রায় সব রাজ্যে স্কুল খুলে গিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, বিহার, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এই সব রাজ্যে অনেক আগেই স্কুল খুলে গিয়েছে। তাই করোনা বিধি মেনেই রাজ্যে খুলছে স্কুল।