নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২২ ডিসেম্বর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ফের একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করল আদালত। মধ্যমগ্রামের এক মহিলাকে গুলি করে খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর বিরক্তি প্রকাশ করেন এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
মধ্যমগ্রামের এক মহিলাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। বুধবার সিবিআইয়ের সেই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এদিন বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, সিবিআই মানেই সময় নষ্ট! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে এদিন মামলার তদন্তভার সিআইডি-কে দেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তদন্ত দেওয়া হল সিআইডিকে। দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। এসপি সহ ওই মামলার তদন্তকারী অফিসারদের গাফিলতি খতিয়ে দেখে রাজ্য পুলিসের ডি জি-কে দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে।’
প্রসঙ্গত মধ্যমগ্রামে এক মহিলাকে তিন বছর আগে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সেই খুনে অভিযুক্তরা এখনও অধরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এদিন তিনি বলেন, ‘এটা কী বিশ্বাসযোগ্য তিন বছরেও একটা খুনের মামলায় কেউ গ্রেফতার হল না! কোনও রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া এটা হতে পারে না! আমি এটা বিশ্বাস করি। তিন বছরেও কোনও তদন্ত এগোল না! ২০২৩ সালে সিট গঠন করে কী হবে? আমি সিবিআই-কে দায়িত্ব না দিলেও সিআইডি-কে দায়িত্ব দেব। কোর্ট খুশি নয়। সিবিআই-কে দিয়ে সময় নষ্ট। আপনারা যাই বলুন, এটা প্রভাব খাটানো ছাড়া আর কিছুতে হতে পারে না। রাজ্য পুলিস এত খারাপ আমি বিশ্বাস করি না।’
উল্লেখ্য এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানির সময় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সিবিআই কৌঁসুলিদের বারবার প্রশ্ন করেও সঠিক উত্তর মিলছে না। শুধু তাই নয়, বিচারপতি সিবিআই আইনজীবীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনারা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যান। তিনি সব বুঝিয়ে দেবেন। আপনাদের তদন্তকারী অফিসার কোথায়। আপনারা কিছুই করছেন না।
