নিজস্ব প্রতিনিধি: বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় স্থগিতাদেশ পেল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই শুনানির সময় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে অরাজি হন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ২৭৩ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল করে দেয়। আদালত তাঁদের বেতন বন্ধ করারও নির্দেশ দেয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ করে হাইকোর্ট। বলা হয়, রাজ্য সরকার নতুন সভাপতি নিয়োগ না করা পর্যন্ত সভাপতির কাজ চালিয়ে যাবেন পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। এর পর সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। পর্ষদের তরফে সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল। আদালত এদিন তা দিতে চায়নি।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চায়, প্রশ্ন ভুল থাকার জন্য যখন পরীক্ষার্থীদের বাড়তি ১ নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হল, তখন তা সমস্ত পরীক্ষার্থীকে দেওয়া হয়নি কেন? আদালতের কাছে অভিযোগ ছিল, ২৩ লক্ষ প্রার্থীর মধ্যে শুধু মাত্র ২৭৩ জনকে ওই বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, পর্ষদ কিসের ভিত্তিতে ওই ২৭৩ জনকে বেছে নিয়েছিল? বিচারপতিরা সরাসরিই জানতে চান, ‘প্রশ্নে যদি ভুল থেকে থাকে, তবে কৃতকার্য এবং অকৃতকার্য— সব প্রার্থীকেই এক নম্বর করে বাড়ানো উচিত ছিল না কি? কেন এই বৈষম্য করা হয়েছে?’