নিজস্ব প্রতিনিধি: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Madhyasiksha Parshad) অফিসে আচমকা হানা দিল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে যান। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও ডাকা হয়েছে দফতরে।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি পর্ষদের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিগত তিন দিন ধরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে দফায় দফায় তল্লাশি অভিযানে গিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালিয়ে অফিস থেকে গোয়েন্দারা উদ্ধার করে প্রচুর নথিপত্র। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে আবার পর্ষদের অফিস ডিরোজিও ভবনে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, কী ভাবে গোটা দুর্নীতি হয়েছে, কোন পথে বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, বেআইনিভাবে নিয়োগের পিছনে কাদের নির্দেশ ছিল,সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বাগ কমিটির সুপারিশ মতো সিবিআই এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঁচ বড় কর্তার বিরুদ্ধে একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করে। শান্তিপ্রসাদ সিনহা ছাড়াও সিবিআই এফআইআর করে কমিশনের প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, কমিশনের প্রাক্তন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোনও রকম আইন না মেনে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের গ্রুপ সি পদে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন তিনি। শান্তিপ্রসাদ এবং তৎকালীন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও শূন্যপদ তৈরি করেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ৩৮১টি পদে জাল সুপারিশপত্র দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছিল।