নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল কর্মী হাইবার আখন কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে থাকা সিবিআই আধিকারিক উমেশ কুমার(Umesh Kumar)-সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। এবার এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআইয়ের দিল্লির সদর দফতর থেকে কলকাতার সিবিআই অফিসে চিঠি দিয়ে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিল্লির সদর দফতর থেকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, হাইবার আখনকে গত ২৬ মে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোন কোন তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন, তাঁকে কতক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে কি না। তাঁকে কোনও নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কি না। এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে দিল্লির সিবিআই অফিস থেকে। সূত্রের খবর, কলকাতার সিবিআই অফিসের তরফে ইতিমধ্যে সেই চিঠির জবাব পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তে নেমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মণ্ডহারবারের বিষ্ণুপুর থানা(Bishnupur PS) এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী হাইবার আখনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। হাইবারের অভিযোগ, কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তকারী দলের প্রধান উমেশ কুমার এবং আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক, কলকাতার নিজাম প্যালেসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে রীতিমত হুমকি দেন। তাঁকে বলা হয়, সিবিআই আধিকারিকেরা যে ধরনের বিবৃতি চাইছেন তাঁকে সেই সব কথাই জবানবন্দী হিসাবে রেকর্ড করতে হবে। শুধু তাই নয়, সিবিআই আধিকারিকদের কথা মতো না চললে তাঁকে ভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি ধমকি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রাজ্যের এক বিশিষ্ট নেতার নামে জোর করে বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় তাঁকে। এই সব কারণেই উমেশের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৫০৬, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮, ৩৪-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছেন হাইবার আখান। সেই এফআইআরের কপি সংগ্রহ করেছেন সিআইডি আধিকারিকেরা। এবার এই ঘটনায় কলকাতার সিবিআই অফিসের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইল সিবিআই।