নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়লাপাচার(Coal Smuggling) কাণ্ডে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Rujira Banerjee) মঙ্গলবারই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই(CBI)। সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। এদিনই তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) ত্রিপুরায় যাওয়ার কথা। সেখানে তাঁর এদিনই একটি রোড-শো করার কথা রয়েছে। আর এই দিনেই রীতিমত আঁটঘাট বেঁধে কালিঘাটে অভিষেকের বাড়ি ‘শান্তিনিকেতবন’-এ হানা দিচ্ছে সিবিআই আধিকারিকেরা। এদিনই তাঁরা এই বাড়িতেই রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। ঘটনাচক্রে এদিনই আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে। তাই ধরেই নেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের বিজেপি বিরোধীতা ঠেকাতেই রীতিমত আঁটঘাট বেঁধেই এদিন রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সিবিআই। সূত্রের দাবি, সবটাই হয়েছে দিল্লিতে বসে থাকে গেরুয়া শিবিরের চাণক্যের নির্দেশে।
আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরায় একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। সেই উপনির্বাচনের প্রচারে এদিনই অভিষেকের ত্রিপুরায় যাওয়ার কথা। আগরতলায় এদিন তাঁর একটি রোড-শো রয়েছে। আবার আগামী মাসেই রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শিবিরের তরফে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করাতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা। তাই আগামিকাল দিল্লিতে তিনি একটি বৈঠকও ডেকেছেন। সেই সূত্রেই এদিনই তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা। কিন্তু বিষয় হচ্ছে, ত্রিপুরা হোক কী দিল্লি দুটি ক্ষেত্রেই তৃণমূলের নিশানায় রয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় এদিন সিবিআই যে পথ নিয়েছে, অর্থাৎ মমতা ও অভিষেকের অনুপস্থিতিতে রুজিরাকে বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত, তা যে সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক স্তরের সিদ্ধান্ত তা নিয়ে আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্রের দাবি, গেরুয়া শিবিরের চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই এদিনই রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বেছে নিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। যাতে মমতা বা অভিষেক কেউই বিজেপির বিরুদ্ধে বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে না পারেন।
কয়লাপাচারকাণ্ডে এর আগে রুজিরাকে ইডি’র নয়াদিল্লির সদর দফতরে হাজির হওয়ার জন্য বহুবার নোটিস জারি করা হয়েছিল। এমনকী তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। পাশাপাশি এর আগেও বাড়িতে এসে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল রুজিরাকে। যদিও এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’বার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এখন অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতায় তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কয়লাপাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৩০০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। অভিযোগ, এই কয়লা পাচারের লাভের অংশ পৌঁছেছে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে। হাওয়ালা মারফত সেই মোটা টাকা বিদেশের ব্যাঙ্কে চলে গিয়েছে। এমনই একটা যোগসূত্রেই রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তদন্তকারীরা।