নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। ফলে তড়িঘড়ি নবান্নের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বৈঠকে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ নবান্নের অন্যান্য দফতরের সচিবেরা। এই বৈঠকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে অসুস্থতার কারণে বেরোতে না পারলেও রাজ্যের মন্ত্রী ও আমলাদের নিয়োগ করেছেন। বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার কথা বলেছেন। পরিস্থিতিতে নজর রাখতে নবান্নে ২৪*৭ কন্ট্রোল রুম চালু। পর্যটন দপ্তরের অফিসে চালু করা হল ২৪*৭ কন্ট্রোল রুম। সব জেলায় ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক বিভাগগুলিতে আপাতত সবার ছুটি বাতিল করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে সমস্ত এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পৌঁছেছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দল পৌঁছেছে।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জলের স্রোত নিয়ন্ত্রণে এলেই তিস্তার বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে। দার্জিলিঙ, কালিম্পঙ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি বেশি প্রভাবিত হয়েছে। সেখান থেকে বহু মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিচু এলাকা থেকে সরে আসার কথা জানান। ডিভিসিকে আবার জল ছাড়তে হবে। মুকুটমণিপুরে বাঁধ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা। জল আরও বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অ্যাডিশন্যাল চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে টিম পাঠানো হবে।
সিকিমের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। সবরকমভাবে সাহায্যের কথা জানিয়েছেন। মুখ্যসচিবকে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে । সেনা যদি মনে করে কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন তাহলে সবরকমভাবে প্রস্তুত। তিনি নিজেও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন।