নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রয়াত হয়েছেন টেস্ট টিউব শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইভিএফ পদ্ধতির অন্যতম জনক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকের ছায়া চিকিৎসক মহলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শুক্রবার সেখানেই প্রয়াত হন বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী।
কিছু দিন আগে সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় প্রবীণ চিকিৎসকের। এর ফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তারপর থেকে তাঁর একের পর এক শারীরিক অসুস্থতা লেগেই ছিল। ২০২১-এ কোভিডেও আক্রান্ত হন তিনি। সম্প্রতি শারিরীক অসুস্থতা বাড়ায় কয়েকদিন আগে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত আইআরএম অর্থাৎ ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিনে সুলভে আইভিএভ পদ্ধতিতে লক্ষ লক্ষ মহিলা সাফল্যের সঙ্গে টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তাঁর গবেষণা এবং কাজ বহু নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তান লাভ করতে সাহায্য করেছে। ১৯৮৬ সালে কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে গবেষণা এবং চিকিৎসার জন্য ‘ইনস্টিটিউট অব রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন’ তৈরি করেন প্রবাদপ্রতিম এই চিকিৎসক। পরবর্তীকালে গবেষণাপত্র তিনি ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’-র (ICMR) হাতে তুলে দেন। তাঁর কাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে তাঁকে ২০১৯ সালে ‘বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্মান’ (লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড)-এ ভূষিত করা হয়। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। ভারতে আইভিএফ বা কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন অর্থাৎ নলজাতক গবেষণা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। এই বর্ষীয়ান চিকিৎসকের প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন অগণিত নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তানলাভে সাহায্য করেছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৯ সালে ‘বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্মান’ (লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড)-এ ভূষিত করে। তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসা ও গবেষণা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি ডাঃ বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’