নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে এবং বাল্যবিবাহ রোধে কন্যাশ্রী প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৩ সালে এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে রাজ্য সরকারের তরফে প্রতি বছর ১৪ অগাস্ট দিনটিকে ‘কন্যাশ্রী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এ বছরেও এই দিনটিকে স্মরণ করে বাংলার কন্যাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার বাংলার মেয়েদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বাংলার প্রত্যেক বালিকা, কিশোরীদের ক্ষমতায়নে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা। কন্যাশ্রী দিবসে প্রকল্পের আওতাভুক্ত প্রত্যেক বালিকা, কিশোরীকে শুভেচ্ছা জানাই।’
রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানিত হয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে ইউনাইটেড নেশনস থেকে সর্বোচ্চ জনসেবা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। বিশ্বের ৬২টি দেশের ৫৫২টি জনসেবামূলক প্রকল্পের মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প সেরা পুরস্কার পায়। তার আগে এই প্রকল্প ২০১৫ সালে স্কচ স্মার্ট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পায়।
প্রসঙ্গত এই প্রকল্প চালু করার উদ্দেশ্য বাল্য বিবাহ রোধ করে বাংলার মেয়েদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলা। টাকার অভাবে বহু দরিদ্র পরিবারের বালিকা ও কিশোরীকে মাঝ পথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়। এমনকি পড়াশোনা ছেড়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে তাদেরকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে বন্ধ করে বঙ্গকন্যাদের উচ্চশিক্ষার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ছাত্রীরা বছরে ১০০০ টাকা বৃত্তি এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি পায়। যা উচ্চতর শিক্ষায় পড়াশোনায় ছাত্রীদের কাজে লাগে।