নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফেরার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE) গিয়েছিলেন নিউটাউনে এয়ারক্র্যাফট মিউজিয়াম উদ্বোধনে। এরপর সরাসরি তিনি চলে আসেন ভাবনীপুরে খুন হওয়া দম্পতির বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মৃত ব্যবসায়ী দম্পতির বাড়ি এসে তিনি কথা বলেন শাহ দম্পতির ২ মেয়ের সঙ্গে। কথা বলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গেও। জানতে চান তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পর্কে। মৃত ২ দম্পতির মেয়ের কাছে শোক প্রকাশ করেন তিনি। দোষীরা দ্রুত ধরা পড়বে এই আশ্বাস দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মৃত গুজরাটি দম্পতির বাড়ি আসার পরেই তাঁর কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিবারের ২ মেয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতি দেন দোষীরা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে। প্রাথমিক ভাবে কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। অপরাধীদের কড়া শাস্তি হবে, প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, তদন্ত চলছে। অপরাধীদের ধরা হবেই। বাইরে থেকে এসে হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে বেশি কথা বলা হবে না। অপরাধীরা কড়া শাস্তি পাবেই। বলেন, মৃতের পরিবারের পাশে আছে রাজ্য সরকার। এও বলেন, খুনে পরিচিতদের হাত থাকতে পারে। আপাতত ৯৯ শতাংশ তদন্ত হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিন তিনি বলেন, ভবানীপুরে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকে। আগে এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ কমিশনার বলেন, দোষীরা দ্রুত ধরা পড়বে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেই নার্সের হাত কেটে নিয়েছিলেন তাঁর স্বামী, তিনি নার্সিং পরীক্ষায় ২২ স্থান অর্জন করেছিলেন। তিনি বসে কথা বলার মত কাজ করবেন। সেই ব্যবস্থা করবেন রাজ্য সরকার। আর্টিফিসিয়াল ভাবে তাঁর হাতের ব্যবস্থা করা হবে। তাঁর চিকিৎসা তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হয়নি, কেন করাননি তিনি তা দেখবে সরকার। চিকিৎসার জন্য নির্যাতিতার প্রায় ৫৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।