নিজস্ব প্রতিনিধি: রণে ভঙ্গ দিলেন ডিএ (DA) আন্দোলনকারীরা। ৪৪ দিন পর অবশেষে অনশন (Hunger Strike) তুলে নিলেন মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে অনশন তুলে নিলেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
তবে দাবি পূরণ এখনও হয়নি, তা সত্ত্বেও কেন আচমকা অনশন তুলে নিলেন আন্দোলনকারীরা? প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য কর্মীদের অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘দীর্ঘ অনশন আন্দোলনে অনেক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। কারও কিডনিতে সমস্যা হচ্ছিল, কেউ কেউ গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই আপাতত ডিএ-র দাবিতে অনশন স্থগিত রাখা হল।’ পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য কেন্দ্র সরকারের হারে মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে অনশন শুরু করেছিলেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবনশন চলবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার আগে রণে ভঙ্গ দিলেন আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত এর আগে বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। গত ১১ মার্চ রাজভবনের তরফে টুইটারে লেখা হয়, ‘রাজ্যপাল গভীরভাবে ব্যথিত যে, সংক্ষুব্ধ কর্মচারীদের অনশন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করছে। এই সমস্যাটি জটিল হতে পারে কিন্তু সবসময় সমস্যা সমাধানের একটি সহজ উপায় আছে। আমাদের ভাইদের মূল্যবান জীবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ দ্বিতীয় টুইটে এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের তরফে আরও বলা হয়, ‘যাঁরা ক্রমাগত উপবাস করে চলেছেন তাঁদের হৃদয়ের কাছাকাছি রয়েছেন রাজ্যপাল। যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনশনে আছেন তাঁদের দয়া করে এটি শেষ করার জন্য অনুরোধ করছেন রাজ্যপাল এবং সব পক্ষকে একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে এই অস্থিরতা থেকে একটি গ্রহণযোগ্য উপায় খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করছেন।’