নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছর মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ফেব্রুয়ারি। নিয়ম হল, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ(Madhyamik Exam Result 2024) করতে হবে। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ১২ মে। তার আগেই এদিন অর্থাৎ ২ মে ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ(WBBSE)। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল রাজ্যের ৯ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী। এবাতে পর্ষদের কাছে নথিবদ্ধ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৬। এর মধ্যে এবারে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন পড়ুয়া। এদিন সকালে এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়(Ramanuj Gongopadhay)। তিনি জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হারে ছেলেদের টেক্কা দিয়েছে মেয়েরা। কেননা সাফল্যের দৌড়ে এগিয়ে তাঁরাই। তবে প্রথম স্থান দখল করেছে এক ছেলেই, নাম তাঁর চন্দ্রচূড় সেন(Chandrachur Sen)। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার রামভোলা হাইস্কুলের(Coachbehar Rambhola High School) ছাত্র সে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় এবার প্রথম ১০জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ৫৭ জন পড়ুয়া। তার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। ৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র সাম্যপ্রিয় গুরু। সে পেয়েছে ৬৯২। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিন জন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ। বীরভূমের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভ স্কুলের ছাত্রী পুস্পিতা বাসুরি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণের ছাত্র নৈরিত পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে কালিম্পং জেলা। তার পরেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। চলতি বছরে মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৩.৩১ শতাংশ। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় বেড়েছে পাশের হার। এদিনই সকাল ১০টা থেকে পর্ষদের ক্যাম্প অফিস থেকে বিলি করা হবে মার্কশিট ও শংসাপত্র, যা প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা বা টিচার ইনচার্জ সংগ্রহ করবেন। দুপুরের পর ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে মার্কশিট ও শংসাপত্র তুলে দেবে স্কুল।
পর্ষদ সভাপতি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন যে এবারে মাধ্যমিকের প্রথম ১০জনের যে মেধাতালিকা তৈরি হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৮ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের ৭ জন করে, বাঁকুড়া, মালদা ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪জন করে, বীরভূমের ৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনা, কোচবিহার, হুগলি ও নদিয়ার ২জন করে এবং হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, পুরুলিয়া ও উত্তর দিনাজপুরের ১জন করে পড়ুয়া আছে। এবারে ৪৬ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে আর ২ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১১ জন, AA পেয়েছে ৯ হাজার ৯৬১ জন, A+ পেয়েছে ২৪ হাজার ৬৪৩ জন, A পেয়েছে ৮৩ হাজার ৮০৭ জন।