নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতসকালেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের কাঁচড়াপাড়া(Kanchrapara) এলাকা। নেপথ্যে এক নাবালিকার(Minor Girl) অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং এলাকারই নর্দমা থেকে তার দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে। প্রশ্ন উঠেছে ওই নাবালিকার মৃত্যুর কারণ ঘিরে। পুলিশের দাবি মেয়েটিকে তাঁর বাবা-মাই খুন করে তার দেহ নর্দমায় ফেলে দিয়েছে। কার্যত সেই সন্দেহে পুলিশ ইতিমধ্যেই নাবালিকার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে তাদের জেরা করা শুরু করেছে। পাশাপাশি পুলিশ ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যদিও এলাকাবাসীর কারও কারও দাবি, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে নর্দমায় যাতে তা দুর্ঘটনা বলে চিহ্নিত হতে পারে। কেননা মেয়ের মায়ের দাবি মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই ওই নাবালিকা নিখোঁজ ছিল।
আরও পড়ুন লালনের রহস্যমৃত্যু নিয়ে মামলা দায়েরে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর মহকুমার বীজপুর থানার(Bijpur PS) কাঁচড়াপাড়া পুরসভা এলাকার ট্রেলার রোডের কুলিয়াপট্টিতে নবজীবন ক্লাবের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি নর্দমা থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় এক গ্যারেজের মালিক দোকানের সামনে ঝাঁট দিতে গিয়ে নর্মদার মধ্যে নাবালিকার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই গ্যারেজ মালিকের দাবি, ‘আজ সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আমি গ্যারেজ খুলি৷ এলাকার একটি মেয়ের মা আমার কাছে এসে বলেন তাঁর মেয়েকে রাত তিনটে থেকে পাওয়া যাচ্ছে না৷ এরপর আমি গ্যারেজ ঝাঁট দিতে গিয়ে দেখি সামনের নর্মদার মধ্যে লাল পোশাক পরা একটি মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে এলাকার কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানাই৷ এরপর নাইট গার্ডের মাধ্যমে থানায় খবর দেওয়া হয়৷ খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহটি নিয়ে যায়৷’ পুলিশের প্রাথমিক ধারনা ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে খুন করেই তার দেহ নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক কারণে পরিবারের লোকজনই নাবালিকাকে খুন করে থাকতে পারে বলেও অনুমান পুলিশের৷ তাই এই ঘটনার তদন্তে নেমে নাবালিকার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বীজপুর থানার পুলিশ৷ যদিও নজর রাখা হচ্ছে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের দিকেও।