নিজস্ব প্রতিনিধি: সিবিআই (CBI) হেফাজতে বকটুই (Baktui) কাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Shaikh) অস্বাভাবিক মৃত্যু (Unnatural Death) নিয়ে এবার মামলা (Case) দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এদিন এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান কোনও বিচারপতির পর্যবেক্ষণে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী। মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মঙ্গলবার মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী।
উল্লেখ্য সোমবার রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর লালনের পরিবারের তরফে তাঁকে খুন করার অভিযোগ তোলা হয় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালন শেখ আত্মহত্যা করেছেন। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লালনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে মঙ্গলবার। ইতিমধ্যে লালনের পরিবারের তরফে রামপুরহাট থানায় সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর(FIR) দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বীরভূমের রামপুরহাট এলাকার বগটুই গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই রাতেই বকটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কম করে নয় জনের মৃত্যু হয় সেই অগ্নিকাণ্ডে। সেই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআই এই ঘটনায় যে চার্জশিট জমা দেয় সেখানে লালন শেখের নাম ছিল। চলতি ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখে লালন শেখকে ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারের পর সিবিআই হেফাজতে ছিলেন অভিযুক্ত।