নিজস্ব প্রতিনিধি: জনস্বাস্থ্য নিয়ে আপনারা অবগত। আজকে একটা নতুন উদ্যোগ নিল বিরল রোগ কল্যাণ যোজনা । বিরল রোগ একটা জেনেটিক ডিসঅর্ডার। শিক্ষিত বিশেষজ্ঞ এবং আশা কর্মী থাকবেন চিকিৎসা কেন্দ্র। পারিবারিক এবং সামাজিক কল্যাণে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে শনিবার একথা জানান, কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ অতীন ঘোষ(Atin Ghosh)। বিতিকা ঘোষ এবং দিপনজনা দুজনই পারিবারিক ভাবে তাদের সন্তান বিরল রোগের শিকার হয়েছেন। তাই তারা লড়াই করে এই বিরল রোগের বিরুদ্ধে লড়ছেন। একটা শিশুও অন্ধকার ভবিষ্যত্ নিয়ে আসবে না সেটা আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং কাশীপুরে একটা ক্যাম্প করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বিরল রোগের কেস পাওয়া যাচ্ছে। যার জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
কলকাতা পৌর সংস্থার স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা ডক্টর টি কে মুখোপাধ্যায় জানান যে ,বিরল রোগে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়। অনেক সময় বিরল রোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। জনস্বাস্থ্য মূল কথা হচ্ছে রোগকে নির্ণয় করা। এই অভিনব উদ্যোগ একমাত্র কলকাতা পৌর সংস্থার নিতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি তার। মানুষকে সচেতন করা যায় যাতে যারা পিছিয়ে পড়া মানুষ আছে তাদের সাহায্য করতে এবং রোগ নির্ণয় করার বিষয় জানতে পারবে বলে জানান টি কে মুখোপাধ্যায়।ডক্টর দীপাঞ্জনা বলেন ,এই বিরল রোগের চিকিৎসা সেই ভাবে হয় না। কারণ বংশগত রোগ। সেই কারনে একজনের বংশে এই রোগ হলে,সেই রোগ অন্য কারোর হতে পারে। তবে এই বিরল রোগকে নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। এই রোগের নির্ণয় করার জন্য কোনো টেস্ট (Testনা করে এই রোগকে দুর করা যায় না। তার জন্য সেই পারিবারকে চিহ্নিত করে তাদের চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অথচ এটা বিরল রোগ তার জন্য সচেতনতার জন্য একটা সমীক্ষা করে এগোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী সকাল ৬ টার সময় বিরল রোগীদের নিয়ে একটা ম্যারাথন করা হবে। যেখানে বিরল রোগীদের পাশাপশি তাদের পরিবার উপস্থিত থাকবে।মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী জানান যে, এই প্রোগ্রাম দেশ এবং দশের কল্যাণের জন্য ভালো করবে। আমাদের এই পাইলট প্রজেক্টকে কলকাতা পৌর সংস্থার সম্পূর্ন ভাবে সহযোগিতা করবে। তার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া, সমীক্ষা করা এবং তার মাধ্যমে রাজ্য সরকারের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে বিরল রোগের চিকিৎসা হয়। তার জন্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে ব্যাবস্থা করা যায়। সাংবাদিকদের বলেন চিকিৎসক দীপাঞ্জনা। হাইপটেনিয়া কারণে শিশু দের চিকিৎসা করার জন্য বিনা মূল্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আমাদের রাজ্য একমাত্র এই চিকিৎসা করা হয় বিরল রোগের চিকিৎসা।আমরা প্রথমে বিরল রোগের সমীক্ষা ও পরীক্ষা শুরু করব। তার পরে ১৪৪ টি ওয়ার্ডে সচেতন করা হবে। সরাসরি আমরা সাসপেক্ট ওয়ার্ড গুলি কে চিহ্নিত করব। যেখানে প্রায় ৭০০ জন আশা কর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হবে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে শুরু হবে। কিন্তু সমস্ত ওয়ার্ডের আশা কর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হবে। আমাদের স্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্র গুলিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় প্রস্তুতি মহিলা দের স্ক্রিনিং করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।