নিজস্ব প্রতিনিধি : ফের বিরল অস্ত্রোপচার করে তাক লাগিয়ে দিল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল। অসাবধানতাবশত সোনার নাকছাবির একটা অংশ ঢুকে গিয়েছিল ফুসফুসের মধ্যে। কিন্তু প্রথমদিকে টের পাননি ৩৫ বছর বয়সি বর্ষা সাহু। পরে শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসরা অস্ত্রোপচার করে নাকছাবির ওই অংশটিকে বের করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থই আছেন বর্ষা।
১৬-১৭ বছর আগেই বর্ষার বিয়ে হয়ে যায়। তখন থেকেই সোনার নাকছাবিটি পড়ে থাকতেন বর্ষা। একটা সময়ে অসাবধানতাবশত নাকছাবিটির স্ক্রু শরীরের মধ্যে ঢুকে যায়। প্রথমে বর্ষার পরিবারের লোকেরা ভেবেছিল, স্ক্রুটি হয়ত পাকস্থলীতে চলে গিয়েছে। তাই প্রথমদিকে তাঁরা আর গুরুত্ব দেননি। কিন্তু বেশ কয়েকদিন পর থেকে বর্ষার শরীরে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। চিকিৎসক প্রথমে তাঁকে নিউমোনিয়া হয়েছে ভেবে ওষুধ দেন। কিন্তু সেই ওষুধে কাজ দেয়নি। উল্টে সমস্যা বাড়তেই থাকে। এরপর তাঁকে বুকে এক্স রে ও সিটি স্ক্যান করা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে ফুসফুসের ডান দিকে খুব ছোট একটি জিনিস আটকে রয়েছে। এরপরে বোঝা যায়, নাকছাবির স্ক্রুটিই আটকে রয়েছে সেখানে।
এরপরই চিকিৎসক দেবরাজ জ্যাশের তত্বাবধানে নাকছাবির অংশটিকে ফুসফুস থেকে বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে বিষয়টি যে খুব সোজা ছিল না, সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিকিৎসক জ্যাশ জানান, ‘সাধারণত এই ধরনের ঘটনা শিশু কিংবা ৮০ বছরের বেশি বয়সিদের হয়ে থাকে। সুপারি কিংবা শুকনো ফলের টুকরো ফুসফুসে আটকে বিপত্তি দেখা দেয়। তবে এত কম বয়সি একজনের ফুসফুসে যে স্ক্রু ঢুকে যাবে, সেটা খুব একটা দেখা যায় না।‘ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘নাকছাবির ওই স্ক্রুটিকে বের করতে যে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, খুব সরু জায়গা দিয়ে সেটিকে বের করতে হয়েছিল। একটু যদি ভুল হত তাহলে স্ক্রুয়ের ধারালো অংশ লেগে রক্তপাত হতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে।‘