নিজস্ব প্রতিনিধি: এক ব্যাক্তি এক নীতি মেনে এবার শাসকদল অনেক মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদকে পুরভোটে প্রার্থী করা হবে না বলেই শোনা যাচ্ছিল। যা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে চলছিল জোরদার জল্পনা। তবে শুক্রবার পুরভোটের প্রার্থীতালিকা তৈরি করতে ম্যারাথন বৈঠক হল কালীঘাটে। সেখানেই স্থির হল অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদকে পুরভোটে টিকিট দেওয়া হবে। তবে কয়েকজন বাদও পড়েছেন। এই বাদ পড়া তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তুনু সেন। তিনি কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর ছিলেন।
চুরান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেই অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়ে দেন তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ ছয় বিধায়কের। এরমধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মুজমদার এবং প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। নাম রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়ের নাম। মনে করা হচ্ছে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেই ওই বিধায়ক-সাংসদদের আবার প্রার্থী করা হল। কিন্তু মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা করেনি তৃণমূল। মেয়র কে হবেন? তৃণমূলের মহাসচিব জানান, ভোটের ফলপ্রকাশের পর দলের সঙ্গে কথা বলে কাউন্সিলররা সিদ্ধান্ত নেবেন।
অপরদিকে, শান্তুনু সেন টিকিট না পেয়ে অবশ্য হতাশ নন। তিনি বলেন, ‘দল আমাকে যা দায়িত্ব দিয়েছে সেটাই পালন করবো। পুরভোটে প্রার্থী হতে না পেরেও তাই কোনও হতাশা নেই। এক ইঞ্চিও দুঃখ হয়নি। রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়াও সাংগঠনিক দায়িত্ব রয়েছে। সেগুলিই মন দিয়ে করতে চাই’। তবুও শুরু হয়েছে গুঞ্জন, কেন বাদ গেলেন দীর্ঘদিনের এই পুর প্রশাসক? তবে তৃণমূলের দাবি, সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। আসনটি এবার মহিলা সংরক্ষিত। পরে প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর দেখা গেল ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন শান্তুনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন।