নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) রেশন বন্টন দুর্নীতির(Ration Distribution Scam) তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED। সেই তদন্তের সূত্রেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য(Shankar Adhya)। সেই তদন্তের জেরেই মকরসংক্রান্তির সকালেই কলকাতার ৪টি জায়গায় নতুন করে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ED। সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে শঙ্করের নিজস্ব সংস্থা Adhya Forex Pvt Ltd’র মাধ্যমে বিদেশে রেশন দুর্নীতির টাকা পাচার করা হয়েছে। সেই পাচারের সন্ধান পেতেই আজকের এই হানাদারি।
গতকালই সামনে এসেছিল যে শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানি Adhya Forex Pvt Ltd’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছ ২৭০০ কোটি টাকা। এই টাকার সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগ আছে কিনা তাই খুঁজছেন ED’র আধিকারিকেরা। যদিও শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ‘এটা ব্যবসার টাকা। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের ব্যবসায় এমন হয়েই থাকে। বৈদেশিক মুদ্রা সম্পর্কিত ব্যবসায় এমন লেনদেন হয়। আমার দল এই টাকার সম্পর্কে কিছু জানে না।’ তবে এদিন যে ৪ জায়গায় তল্লাশি চলছে তার মধ্যে Adhya Forex Pvt Ltd’র অফিসও রয়েছে।
ED সূত্রের দাবি, শঙ্করের ৯০টির বেশি বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থা রয়েছে। আদালতে তেমনটাই দাবি করা হয়েছিল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। তবে সেই সব সংস্থা একা শঙ্করের নামে নেই। রয়েছে তাঁর আত্মীয়, পরিজন এবং পরিচিতদের নামে। এইসব সংস্থার মাধ্যমেই নাকি অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্কর বিদেশে লেনদেন করেছেন। রেশন দুর্নীতির কালো টাকা আগে ডলারে পরিবর্তন করে তারপর তা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। কখনও টাকা সরাসরি দুবাই পৌঁছেছে, কখন গিয়েছে বাংলাদেশ হয়ে। সেই সব লেনদেন হদিশ পেতেই এদিনের ED’র হানাদারি চলছে বলেই জানা গিয়েছে।