নিজস্ব প্রতিনিধি,বিষ্ণুপুর:লিপস এন্ড বাউন্ডেসের অফিসে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। রবিবার দেশে ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘন্টাও কাটার আগেই সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিল তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকেরা। তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়েই ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা নিতে ময়দানে নেমেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দিনভর হানা দিলেও বিপুল পরিমাণ টাকা কোথাও থেকেই উদ্ধার করতে পারেনি ইডি(ED)।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে “কালীঘাটের কাকু”র কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনভর চলে এই অভিযান। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট-সহ ৩ টি জায়গায় একযোগে হানা দেয় ইডি। সূত্রের খবর বিপুল পরিমান টাকার হদিস মেলায় সেই টাকার নাগাল পেতে মরিয়া ইডি। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের বিষ্ণুপুর ও নিউ আলিপুরের অফিসে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে তোলা টাকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোথায় কোথায় সরিয়েছে তার তদন্ত করতেই তল্লাশি অভিযান বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। নিউ আলিপুরের (New Alipur)পাশাপাশি লি রোডে একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি । ওই ফ্ল্যাটটি সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে জামাইয়ের। সুজয়কৃষ্ণ এটি কিনেছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। এ ছাড়া জোকা ও ঠাকুরপুকুরের একাধিক ঠিকানায় ইডি তল্লাশি চালায় এদিন ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন “কালীঘাটের কাকু” ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র(Sujay Krishna Bhadra)। এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ড কোম্পানিতে সিইও ছিলেন তিনি । দুর্নীতির তদন্তে একযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ইডি হানার জেরে রাজনৈতিক মহলে স্বাভাবিক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এদিন । শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই তল্লাশি অভিজানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রূপ বলে মনে করে । বিরোধী শিবির বিজেপি, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের দাবী তদন্ত দ্রুত শেষ করুক ইডি। চুনোপুঁটি না ধরে দুর্নীতির মাথাকে গ্রেফতার করুক দ্রুত।