নিজস্ব প্রতিনিধি:মঙ্গলবার সকাল থেকে গোটা কলকাতা শহরে আলিপুর , ট্যাংরা সহ বিভিন্ন স্পটে ইডির হানা। বড় কিছুর সন্ধান? শহরজুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান ইডির ৬০ জন অফিসারের দলের। জানা গিয়েছে, তল্লাশি অভিযানে ইডির ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি অফিসারের দল রয়েছে।মঙ্গলবার সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় ইডির (ED)তল্লাশি চলে দিনভর। শহরজুড়ে একাধিক ঠিকানায় ইডি-র বিভিন্ন দল এদিন তল্লাশি শুরু করে। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি সেই কারণ স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে, ১০ নম্বর আলিপুর রোড(Alipur Road), সি আর এস গেস্ট হাউসে হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।
ইডির সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও রয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সি আর এস গেস্ট হাউসের তিন তলায় একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। ওই ফ্ল্যাটের বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইডি-র মোট ৫০-৬০ জনের দল বিভিন্ন শাখায় ভাগ হয়ে তল্লাশিতে যোগ দিয়েছেন। এই তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, মাত্র দিন তিনেক আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে অ্যাডমিট কার্ডের পরে তিনশোর বেশি ক্যান্ডিডেট ওএমআর(OMR) লিস্ট ইডি উদ্ধার করে শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। কেন শান্তনুর বাড়িতে এতো বিপুল পরিমান চাকরি প্রাথীদের ক্যান্ডিডেট ওএমআর লিস্ট? ইডি সূত্রে খবর, বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া(Bakura) সহ বিভিন্ন জেলার চাকরি প্রাথীদের লিস্ট উদ্ধার করেছে ইডি।
শান্তনু কি নিয়োগ দুর্নীতির চক্রে সক্রিয় ভাবে ভূমিকা ছিল? সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। মঙ্গলবার বিকেলে শান্তনুকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা করতে আসে চিকিৎসকের টিম। শান্তনুর সম্পত্তির উপরেও নজর রয়েছে ইডির। নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনো কয়েকজন মধ্যস্থতাকারী রয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। যাঁদের খোঁজ করছে ইডি। কুন্তল ঘোষকে(Kuntal Ghosh) জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কয়েকজনের নামের তালিকা মিলেছে বলে সূত্রের খবর। শান্তনুর হোটেল, জমি বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তি বিষয়ে ও তাঁর আয়ের উৎস জানতে চায় ইডি।