এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ডিসেম্বর থেকেই পে-স্লিপ বাধ্যতামূলক বঙ্গে, সিদ্ধান্ত রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে আরও এক যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই রাজ্যের সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের(Small and Medium Industry) প্রত্যেক শ্রমিককে পে-স্লিপ(Pay Slip) দিতে হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি এই নির্দেশ না মানা হয় তাহলে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ওই সব শিল্পসংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করে দেবে রাজ্যের শ্রম দফতর। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ কার্যকর হলে সন্দেহ নেই উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক ও কর্মচারী(Labours and Workers)। কেননা বাংলার বুকে এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংখ্যা সব থেকে বেশি। সেখানে কর্মসংস্থানের হারও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু এতদিন সেই সব শিল্প সংস্থায় পে-স্লিপ দেওয়া হত না। তার ফলে শ্রমিক ও কর্মচারীরা জোর গলায় যেমন বলতে পারতেন না যে তাঁর ওই সংস্থার কর্মী তেমনি তাঁরা বঞ্চিত হতেন প্রায় সব রকমের সুযোগ-সুবিধা থেকে। মুনাফা লুঠতেন মালিকেরা। এবার সেই ছবি বদলাতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তে।  

আরও পড়ুন মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন অখিল গিরি

পে-স্লিপের গুরুত্ব কোথায়? বেসরকারি সংস্থায় যে সব শ্রমিক ও কর্মচারীরা কাজ করেন তাঁরা যদি পে-স্লিপ পান তাহলে প্রথমত তাঁরা প্রমাণ করতে পারবেন যে তাঁরা ওই সংস্থার কর্মী। দ্বিতীয়ত, পে-স্লিপ দিলে সেখানে ওই শ্রমিক বা কর্মচারীর বেতন কত তা জানাতে হবে। তৃতীয়ত, সেই পে-স্লিপে উল্লেখ করতে হবে ওই শ্রমিক বা কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফাণ্ড বা পিএফ এবং ইএসআই বা মেডিকেল সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। পেলে প্রতি মাসে কত টাকা তাঁর বেতন থেকে কাটা হচ্ছে তাও জানাতে হবে। তিনি যদি ডিএ বা অনান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পান তাহলে তাও জানাতে হবে ওই পে-স্লিপে। এতদিন এই পে-স্লিপ দেওয়া বাধ্যতামূলক না থাকায় বেসরকারি শিল্প সংস্থার মালিকেরা খাতায় কলমে কর্মীদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা দেখালেও শতকরা ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখে যেত ওই সব সংস্থার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মীরা সব রকমের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন। কোথাও কোথাও কম দিয়ে খাতায় কলমে বেশি বলেও দেখানো হত। এবার এই ছবিটাই বদলে যেতে চলেছে বঙ্গে।

আরও পড়ুন গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার হতে পারেন বৈদিক ভিলেজের ম্যানেজার

রবিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর আসানসোলের রাজ্য শ্রম দফতরের কার্যালয়ে রাজ্যের শ্রম দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের(Malat Ghatak) সঙ্গে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল নতুন বেতন চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেখানেই মলয়বাবু পে-স্লিপ নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ও কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বলে দেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের বেতনেই সবাইকে পে স্লিপ দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ঠিকাদারদেরও পে স্লিপ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। তবে ওই বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনগুলি প্রতি বছর নূন্যতম ১৫০০টাকা বেতন বৃদ্ধির দামি তোলেন যা মানতে রাজি হননি মালিক প্রতিনিধিরা। তাঁরা বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি ৭৫০টাকায় বেঁধে রাখতে চান। এই নিয়ে উভয় পক্ষ একমত না হওয়ায় নতুন বেতন চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পে-স্লিপ যে ডিসেম্বর মাস থেকেই সব শ্রমিক কর্মচারীকে দিতে হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মলয়বাবু।

আরও পড়ুন যুব মোর্চার দফতর ‘রঙ্গমঞ্চ’, তোলাবাজি এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ নাড্ডার কাছে

বৈঠকে মলয়বাবু পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন প্রত্যেক শ্রমিককে পে স্লিপ দিতে হবে। স্থায়ী শ্রমিকের পাশাপাশি ঠিকা শ্রমিকরাও পে স্লিপ পাওয়ার অধিকারী। এটা নিশ্চিত করতে আমি ও আমার দফতর বদ্ধপরিকর। আমরা চা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তা নিশ্চিত করেছি। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এক্ষেত্রেও তা একশো শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যের ৬০টির বেশি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা রয়েছে। পাশাপাশি রোলিং মিল, ফেরো অ্যালয়, ইনডাকশন ফার্নেন্স মিলিয়ে ছোট বড় ২০০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রাজ্যে রয়েছে। প্রায় এক লক্ষ শ্রমিকের রুজিরুটি হয় এই ক্ষেত্র থেকে। তাই শ্রমিকদের প্রাপ্য নিশ্চিত করতেই হবে। পে স্লিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানতেই হবে। অন্যথা হলে সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানাব। শ্রমিক শ্রেণিকে বঞ্চিত করা যাবে না। সব ঠিকাদারকে এটা মানতে হবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

এপ্রিলে মমতার বাংলায় GST আদায় বাড়ল ১৩ শতাংশ

সাতসকালে গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘SET’ গঠন লালবাজারের

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

তিলজলায় প্রচন্ড গরমে পুকুরে স্নান করতে নেমে ৩ কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর