এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্বপ্ন সফল মমতার, পুনর্জন্ম হচ্ছে হিন্দমোটরের গাড়ি কারখানা

কৌশিক দে সরকার: টাটাবাবু, ও টাটাবাবু(Ratan Tata)। শুনছেন? আপনি তো বেশ ‘গুড এম’, ‘ব্যাড এম’র গপ্পো শুনিয়ে বাংলা ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। কিন্তু গুজরাতে গিয়েও তো চূড়ান্ত ফ্লপ হল আপনার স্বপ্নের গাড়ি ‘ন্যানো’র প্রকল্প। আপনার সেই তথাকথিত ‘গুড এম’ আপনাকে কত কিছুই তো না দিয়েছিল, তারপরেও তো মুখ থুবড়ে পড়ল আপনার ‘ন্যানো’ প্রকল্প। কেন পড়েছিল জানেন? অবশ্যই জানেন, কিন্তু মুখে স্বীকার করেন না। করবেনই বা কী করে, সুপ্রিম কোর্টও তো ঐতিহাসিক রায় দিয়ে দিয়েছে। তবে বেশ বোঝা যায় মন থেকে মেনে নিতে পারেননি সেই রায়। আদতে আপনি এখনও বুঝতে চাইছেন না গায়ের জোরে চার ফসলি জমি দখলের মধ্যেই কার্যত আপনার স্বপ্নের গাড়ি প্রকল্পের অপমৃত্যু ঘটে গিয়েছিল। তাই আপনি চলে গেলেও বাংলার শিল্প ধাক্কা খায়নি। এর জলজ্যান্ত প্রমাণ এখন হাতের মুঠোয়। আপনি সিঙ্গুরে(Singur) কারখানা গড়েছিলেন, তার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে হিন্দমোটরে(Hindmotor) আবারও খুলছে হিন্দুস্তান মোটরসের(Hindustan Motors) কারখানা। তৈরি হবে স্কুটি আর চার চাকার গাড়ি। সেটাও গায়ের জোরে চার ফসলি জমি দখল না করেই। আপনি হারলেন। জিতলেন কিন্তু আপনার সেই তথাকথিত ‘ব্যাড এম’। মানে বাংলার অগ্নিকন্যা, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, ভাবী ভারতের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।  

পরিবর্তনের পর থেকেই মমতা চাইছিলেন, হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার উত্তরপাড়া পুরসভা লাগোয়া এলাকায় থাকা হিন্দমোটরসের কারখানা আবারও খুলুক। তাঁর সেই চেষ্টা অবশেষে সফল হতে চলেছে। চলতি বছর থেকেই হিন্দমোটরে থাকা হিন্দুস্তান মোটরসের কারখানায় শুরু হতে চলেছে উৎপাদন। আশির দশকে বছরে ২৪,০০০ অ্যাম্বাস্যাডর তৈরি ও বিক্রি হত এই হিন্দুস্তান মোটরসের কারখানা থেকে। কিন্তু বামেদের জঙ্গি শ্রমিক আন্দোলন, বাজারে অ্যাম্বাস্যাডর গাড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় হিন্দমোটরের কারখানার অপমৃত্যু ডেকে এনেছিল। সেই সঙ্গে আঁধার নেমেছিল কারখানার শ্রমিক, কর্মচারী থেকে আধিকারিকদের জীবনেও। ২০১৩ সালে এই কারখানায় প্রায় আড়াই হাজার কর্মী ছিলেন। পরের বছর স্বেচ্ছাবসন নেন ২ হাজার কর্মী। সেই বছরই কারখানা বন্ধ হইয়ে যায়। ২০১৭ সাল নাগাদ হিন্দুস্তান মোটরস বা এইচএম বিক্রি হয়ে যায়। কিনে নেয় পিএসএ গোষ্ঠী। এবার তাঁরাই এইচএম ব্র্যান্ডেই বাজারে নতুন বৈদ্যুতিক চার চাকার গাড়ি আর স্কুটি আনতে চলেছে। আর সেই সব স্কুটি আর গাড়ি তৈরি হবে হিন্দমোটরের কারখানায়।

প্রাথমিক ভাবে, হিন্দুস্তান মোটরসের প্রায় ৩০০ একর জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা পুরাতন কারখানার পরিকাঠামোকে ব্যবহার করেই এই কাজ শুরু হবে। প্রাথমিক লগ্নি হচ্ছে প্রায় ৪০০কোটি টাকা। কারখানায় এখন ৩০০ কর্মী রয়েছেন যারা সাবেক হিন্দুস্তান মোটরসের আমল থেকেই রয়েছেন ও নিয়মিত বেতন পান। আরও প্রায় ৭০০কর্মী নেওয়া হবে এই কারখানায়। এদের একটা বড় অংশই টেকনিক্যাল স্তরে কাজ করবে। চলতি বছর থেকেই শুরু হয়ে যাবে বৈদ্যুতিন স্কুটি তৈরির কাজ। তাহলে টাটাবাবু দেখছেন তো, আপনি বাংলা থেকে পালিয়ে গেলেও বাংলার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যায়নি। গায়ের জোরে চার ফসলি জমি দখল না করেও বাংলার বুকে শিল্প যে সম্ভব সেটাও দেখতে পাচ্ছেন তো! আসলে কী বলুন তো, সদ্দিচ্ছাটা থাকা চাই। যেটা আপনার ছিল না। থাকলে সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের আন্দোলনের কারণতা বুঝতেন। বাংলার অগ্নিকন্যা কেন মরণপন অনশন করেছিলেন সেটা বুঝতেন। কেন বাংলার জনতা মমতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল আর এখনও দাঁড়িয়ে আছে সেটা বুঝতেন। আপনি এখনও বুঝতে চান না। তাই এখনও ‘গুড এম’, ‘ব্যাড এম’ এসব ফিলিংস নিয়ে বসে আছেন। থাকুন বসে, কোনও আপত্তি নেই। কেননা বাংলা আপনাকে এখন চায়ও না। বাংলার আছে মমতা। বাংলার ভবিষ্যৎ সেই গড়ে দিয়ে যাবে। বাংলা তাঁর হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। দেশও এগোবে। তখন আপনি কী বলবেন টাটাবাবু!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তৃণমূলের নিস্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্যোগী সুব্রত বক্সী

১৫ মে’ র পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমবে, বাড়বে অস্বস্তিকর গরম

‘মুসলিমদের এতো নিচু করার কোনও কারণ নেই’, সংখ্যালঘুদের পাশে মমতা

শ্লীলতাহানি  কাণ্ডে রাজভবনের আরও ৪ কর্মীকে তলব লালবাজারের

‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাজভবনের লাটুসাহেব’, আবারও বোসকে নিশানা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর