এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আগে তদন্ত, তারপর টাকা! ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিগত কয়েক দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বার বার কেন্দ্র সরকারের(Central Government) বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন ১০০ দিনের কাজের(100 Days Work) প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার জন্য। তাঁর দাবি গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না। বকেয়া টাকার পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বার বার চিঠি দিয়েও টাকা পাঠানো হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের লক্ষ্যে দলের নেতা থেকে কর্মী সবাইকে আন্দোলন শুরুর নির্দেশও দিয়েছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে ভুয়ো লোক কাজ পেয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের কাজ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত দাবিদারদের কাজ দেওয়া হয়নি। নিয়ম ভেঙেছে বাংলা। এ ব্যাপারে আগে তদন্ত হবে। তারপরই টাকা মিলবে।’ আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের পরে এখন অনেকেই মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিই সঠিক। কেন্দ্র সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। আর সেটাও একুশের ভোটে হারের জ্বালায়।

১০০ দিনের কাজের প্রকল্প ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার মোট বকেয়ার পরিমাণ ৭ হাজার ২৯ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে অদক্ষ শ্রমিকের মজুরি বাবদ বকেয়া আছে ৩ হাজার ২৮৬ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা আর বিভিন্ন উপাদান (মেটিরিয়াল) বাবদ বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ৭৪২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। এই টাকা অবিলম্বে না দিলে তৃণমূল রাস্তায় নামার কর্মসূচিও নিয়েছে। তারপরও রাজ্য সরকার(State Government) ফের কেন্দ্রকে চিঠি লিখবে বলে ঠিক করেছে। যদিও কেন্দ্রও চাপের কাছে পিছু হটতে নারাজ। তারাও জানাচ্ছে, আগে তদন্ত, তারপর টাকা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের আইনেই বলে দেওয়া আছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে যারা কাজ পাবেন তাঁদের ১৫ দিনের মধ্যে কাজের টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। সেই নিয়ম এখন কেন্দ্রই মানছে না। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলাই দেশের মধ্যে বার বার প্রথম হয়। এখন সেই বাংলাকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

এদিকে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে যে দাবি করেছেন তা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বাংলার গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী পুলক রায়(Pulak Roy)। পাল্টা তাঁর দাবি, ‘কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ, আমরা নই, আইন ভাঙছে মোদি সরকারই। কাজ করার ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকের আকাউন্টে টাকা পাঠানোই আইন। কিন্তু মাসের পর মাস আইন ভেঙে কেন্দ্র তা দিচ্ছে না। রাজ্যে মোট জব কার্ডের সংখ্যা ১ কোটি ৪৩ লক্ষ। এর মধ্যে কার্যকরী জব কার্ডের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লক্ষ। কোনওটিই ভুয়ো নয়। স্রেফ টাকা আটকে রাখাই নয়। চলতি আর্থিক বছরের দু’মাস কেটে গেলেও শ্রমদিবসের হিসেব জানাচ্ছে না কেন্দ্র। এবার ৩২.১৪ কোটি শ্রমদিবসের জন্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনও টুঁ শব্দ করেনি কেন্দ্র। তাই আমরা নয়, নিয়ম ভাঙছে মোদি সরকারই।’ তৃণমূলের পাশাপাশি ওয়াকিবহাল মহলেরও অভিমত, বাংলা কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পে দেশের মধ্যে প্রথম হচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এই উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। কার্যত বাংলার সাফল্যে মুখ পুড়ছে বিজেপি ও মোদি সরকারের। সেই সঙ্গে তো একুশের ভোটে গো হারান হারের জ্বালাও রয়েছে। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে এখন নিজেদের গায়ের রাগ মেটাচ্ছে মোদি সরকার ও বিজেপির মন্ত্রীরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা, তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

মিউটেশন আছে মানেই সেই ফ্ল্যাট বৈধ এমন নয়, প্রচারে হাওড়া পুরনিগম

নির্মাণ বর্জ্য হস্তান্তরের বিল না দেখালে কলকাতায় বন্ধ হবে বাড়ি তৈরির কাজ

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

রেকর্ড গরম কলকাতায়, ৫০ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন সদস্য, বিশাখাপত্তনম থেকে এল সাদা বাঘ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর