নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘অনেক জায়গায় আমাদের যারা কর্মচারী আছে। তারা বুঝতে পারছেন না। ফলে ফাইল আটকে রয়েছে। এটার জন্য বলছি এক মাসের বেশি যদি কারোর কাছে ফাইল থাকে তাকে শো কাজ করা হবে। আর যদি তিন মাস ফাইল পড়ে থাকে কেন তাকে সাসপেন্ড করা হবে না,সেটা পুর কর্তৃপক্ষ দেখবে। হুক্কা বার নিয়ে এখনও বিজ্ঞপ্তি হয়নি। কিন্তু পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সমস্ত হুক্কা বার বেআইনি রয়েছে।’ শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)।
এদিন তিনি বলেন,ঝালদা পুর সংস্থা নিয়ে আদালতে মামলা আমি জানি না। এবার আদালত ঠিক করুক কাকে দেবে। নিজে নিজে চেয়ারম্যান হয়ে গেলাম। সেটা তো হয় না। তবে এই টানা পোড়েনে পুর সংস্থার কাজ ব্যাহত হবে না।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, যে এক দুজন যুক্ত থাকলে সবাইকে দোষ দেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রী(CM) প্রশাসনিক বৈঠকে এটা নিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিল ১৬ নিয়ে মেয়র বলেন, এটা গণতন্ত্র বিরোধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বলেছেন আমরা এই বিলের বিরোধিতা করবো।
শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) গ্রেফতার করা যাবে না গ্রেপ্তার করা যাবে না প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন যে ,কোর্ট এটা বলতে পারে না। এটা হতে পারে না। এটা হয় নাকি।
সাকেত গ্রেফতারকে মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। এটা গনতন্ত্র বিরোধী।
তিনি আরোও বলেন,এই গুলো ছেলে খেলা হচ্ছে। আমার নাতনীকে ভয় দেখানোর জন্য আমি বলি হনুমান আসছে। যাতে সে ঘুমিয়ে পড়ে। ডিসেম্বর এই ভাওতা ছাড়া কিছু নয়।গুজরাটের(Gujrat) নির্বাচনে বিজেপির জয় প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, অনেকগুলি ফ্যাক্টর ছিল। রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দুটো বাহিনী একসাথে ছিল। সেখানে কত টা নিরেপক্ষে হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।কলকাতা শুধু নয়। কলকাতায় একটা আসন বিজেপি পায়নি ২১- র ভোটে। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে ছিল। কিন্তু বিজেপি একটা ও সিট পায়নি। কিন্তু যখন কলকাতা পুরসংস্থার ভোট হয়েছে তখন রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হাওয়ায় বিজেপি ৩ টে সিট পেয়েছে। আমার এলাকায় যদি একটা বেআইনি ভোট হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যাক্তিকে নিয়ে আমি কমিশনে যাব। কিন্তু সেই ব্যাক্তিকে কোর্টে যেতে হবে।বর্ধমানে (Bardhaman)পুলিশের উর্দি পড়ে মঞ্চে উঠা ঠিক নয়। বামফ্রন্ট যে ভাবে পুলিশকে ব্যাবহার করেছে, মোদী যে ভাবে পুলিশ কে ব্যাবহার করেছেন , আমরা সেই ভাবে পুলিশকে ব্যাবহার করি না।কলকাতা পুরসভার(KMC) মেয়র এদিন বনিক সভার কাছে আবেদন জানান কেউ সবুজায়নের জন্য যদি এগিয়ে আসেন, একটা তার সঙ্গে চুক্তি হবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে সবুজায়ন করা হবে বলে জানান মেয়র। আমরা ৫ লক্ষ গাছ লাগাচ্ছি। আমরা তাদের সঙ্গে বসে কথা বলে ব্যাবস্থা গ্রহন করব বলে জানান মেয়র। কলকাতায় সবাই মিলে সবুজায়নের কাজে এগিয়ে আসুন মেয়র এদিন আহ্বান জানান।