নিজস্ব প্রতিনিধি: একজন মেয়ের বাবা হিসেবে হুক্কা বার বন্ধ করার জন্য বলেছিলাম। হুক্কা বার নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে, ফিরহাদ হাকিম বলেন, আদালত আমাদের মাথার ওপরে। কোনভাবেই আদালত অবমাননা করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ মাথায় পেতে নেব। তবে একজন বাবা হিসেবে আমি এই কথা বলেছিলাম। সবার ঘরের ছেলেমেয়েদের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। অনেক জায়গাতে এমনভাবে হুক্কা বারের(Hukka Bar) মধ্যে ব্রাউন সুগারের(Brown Sugar) ব্যবহার করা হয় যা ধরা পড়বে না। আদালতের কাছে মামলা নেওয়া না নেওয়ার প্রভিশন আছে। রায় হাতে এলে তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করব।
এদিকে চেতলার(Chetla) বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকালে বার হবার সময় মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম হাকিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ রাজ্যে এলে একটু লাফালাফি হয়। এ রাজ্যে যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, তাদের আবার কিসের তৎপরতা? প্রশ্ন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের(Mayor Firhad Hakim)। একবার সত্তরের ওপর আসন পেয়েছে ওরা। এছাড়া রাজ্যে বিজেপির আর কোনো অস্তিত্ব নেই। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ১৮ থেকে নেমে ওরা খুব বেশি হলে ১ এ অথবা শূন্য হয়ে যেতে পারে। ওদের আসন সংখ্যা বলেও এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ।
বিজেপি এর পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা নয় ছয় করেছে। সি এ জি কে রিপোর্ট দিচ্ছে না। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে পি আই এল করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।এর পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ফিরহাদ বলেন- হাইকোর্টকে নিয়ে খেলা হচ্ছে। হাইকোর্টের একটা গরিমা আছে। সেটাকে বিজেপি(BJP) নষ্ট করে দিচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন মাননীয় বিচারপতিদের নিয়ে। তিনি বলেন মাননীয় বিচারপতিরা এগুলিকে কেন সহ্য করছেন। যে কোন বিষয়ে পি আই এল হয় ? প্রশ্ন ফিরহাদের। হাইকোর্টে কত কেস আটকে রয়েছে এখনো। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। কত মানুষ ফিস দিতে পারছেন না, তাদের উকিলদের। তারা হাইকোর্টের(HighCourt) সামনে গাছ তলায় বসে কাঁদছেন। অথচ যেগুলি মশালা কেস হাইকোর্টে উঠছে, আর সংবাদ মাধ্যম লাফালাফি করছে। সরকারের ন্যায্য প্রপার্টি দখল হয়ে যাচ্ছে, কোন সূরাহা হচ্ছে না। হাইকোর্টে ডেট পাওয়া যাচ্ছে না বলেও এদিন বিজেপিকে কার্যত কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম।